Wednesday, October 31, 2012

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে দর্শনার্থীর ঢল

Details
Ancient Paharpur Buddhist temple Before it called
as Sompur Buddhist Temple Built up in Dhammapala
Dynasty (8 century). According to experts the geometric
 design of the entire world that has been detected ruins
is the best Paharpur Buddhist Temple. Thousands of
people are visiting this Buddhist Temple everyday.
It has 177 rooms and the Buddhist Monks were living
in these rooms. It was situated in Bodolgachi sub-
district, Naoga District, Bangladesh. There were
Silver Coins, Broncs Scripts, Stone Buddhist scripts,
Stone Buddha's Statues and so on. 

লেখক: আজাদুলইসলাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা  |  বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১২, ১৬ কার্তিক ১৪১৯
     ঈদে নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঈদের ছুটি উপলক্ষে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ভ্রমণপিপাসু মানুষের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে এ দর্শনীয় স্থান। এ বৌদ্ধবিহারের টিকেট বিক্রেতা মোতালেব হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার দর্শনার্থী আসছে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে দেশের এই অন্যতম বৌদ্ধবিহারকে ঘিরে উন্মোচিত হতে পারে পর্যটন শিল্পের এক নতুন দিগন্ত। নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। ইতিহাসবিদদের মতে পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে এ বিহার নির্মাণ করেছিলেন। বিহারের আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৯২২ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ৯১৯ ফুট। সমগ্র পৃথিবীতে এ পর্যন্ত জ্যামিতিক নকশার পূরাকীর্তির যে সন্ধান পাওয়া গেছে বিশেষজ্ঞদের মতে পাহাড়পুর তার মধ্যে সেরা। কারো কারো মতে এখানে একটি জৈন মন্দির ছিল। আর সেই মন্দিরের উপরেই গড়ে তোলা হয়েছে এ বিহার। এ বিহারে মোট ১৭৭টি ঘর রয়েছে। ঘরগুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বাস করতেন। বিহারের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি মন্দির। মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ৪শ’ ফুট, প্রস্থে প্রায় ৩৫০ ফুট ও উচ্চতায় ৭০ ফুট। কালের বিবর্তনে মন্দিরের সবচেয়ে উপরের অংশ ধসে গেছে। বাইরের দেয়ালে বুদ্ধমূর্তি, হিন্দুদের দেবী মূর্তি ও প্রচুর পোড়ামাটির ফলকচিত্র রয়েছে। এসব চিত্রে সাধারণ মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনগাথা চিত্রিত হয়েছে। বিহারের মূল বেষ্টনীর দেয়াল প্রায় ২০ ফুট চওড়া। বেষ্টনীর মধ্যে রয়েছে আরেকটি মন্দির। এটি মূল মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও এ বিহারের চারপাশে আরো অনেক স্থাপত্যের নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়। বিহার থেকে ১৬০ ফুট দূরে রয়েছে ইট ও পাথর দিয়ে বাঁধানো একটি ঘাট। এ ঘাটের পাশ দিয়ে এক সময় একটি নদী বহমান ছিল। ঘাট নিয়ে এলাকায় অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। এ ঘাটে মইদল রাজার কন্যা সন্ধ্যাবতী স্নান করতেন বলে এ ঘাটের নাম ছিল সন্ধ্যাবতীর ঘাট।
নরওয়ের সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১৯৯৩ সালে এখানে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। এ জাদুঘরে খলিফা হারুনুর রশিদের শাসনামলের রূপার মুদ্রাসহ বিভিন্ন সময়ের প্রাচীন মুদ্রা, কয়েক হাজার পোড়ামাটির ফলকচিত্র, পাথরের মূর্তি, তাম্রলিপি, শিলালিপি ইত্যাদি স্থান পেয়েছে। এছাড়া বিহারের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে বেড়াতে আসা প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে প্রিয়জনদের নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নেই। নেই ভালোমানের হোটেল-মোটেল। উন্নত যোগাযোগ ও আবাসন ব্যবস্থাসহ আধুনিক সেবা নিশ্চিত করা গেলে এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

No comments:

Post a Comment