Thursday, October 11, 2012

কূটনীতিকদের ব্রিফিং করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-রামুতে বিদেশিদের না যেতে পরামর্শ


কূটনৈতিক প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-১০-২০১২
রামুর বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বসতিতে হামলার কারণ খুঁজে বের করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে সরকার ন্যূনতম ছাড় দেবে না। এ ছাড়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের হাইকমিশন ও দূতাবাসের প্রধান এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে সরকারের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। তিনি আজ দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের রামু পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন। 
প্রায় এক ঘণ্টার ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রামুর বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বসতিতে হামলা-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা স্পর্শকাতর বিবেচনা করে সেখানে না যেতে তিনি বিদেশি কূটনীতিকদের পরামর্শ দেন। 
রামুতে হামলার পর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন। এ পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক হামলা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে কূটনীতিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন। 
বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার রামুর হামলার ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। ওই হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আমাদের ব্যাখ্যা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রামু নিয়ে সরকারের যে দৃষ্টিভঙ্গি আমরা তার ভূয়সী প্রশংসা করি।’
ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেন, রামুর হামলায় মূল কারণ উদঘাটন করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কোনো রকম ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পাশাপাশি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি জানান। এ ছাড়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারে, সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদাশিমা ও শ্রীলংকার হাইকমিশনার শরত ভিরাগোদা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। 
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক ঘণ্টার এ বৈঠকে মূলত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রামুর পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি, ঘটনার পর নেওয়া পদক্ষেপ ও বিদেশি বন্ধুদের কাছে সরকারের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেন। তবে ইউরোপীয় একটি দেশের কূটনীতিক হামলার পর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়টি নিয়ে জানতে চান।

No comments:

Post a Comment