প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আর তাই চিন্তা না করে উপায় নেই। সহজ সমীকরণ করে ভেবে দেখলে বুঝা যায় রামুর বৌদ্ধ মন্দিরের হামলার বিষয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী ইসলাম এর লিজ গ্রহীতারা জড়িত। কী অবাক হলেন? মোটেই অবাক হবেন না। বিডি ব্লগের জনপ্রিয় ব্লগার আইরিন সুলতানার একটি পোস্ট
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে দু:খ প্রকাশ হোক রাষ্ট্রীয়ভাবে উল্লেখিত পোস্টের মন্তব্য গুলো দেখলে স্পষ্ট বুঝা যায়, যে রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার পিছনে উদ্দেশ্য কী ছিল। আমি দেখেছি সেই পোস্টের কিছু ছবি ওয়ালা মন্তব্যের চালচিত্র। অবাক হয়েছি যে ভার্চুয়াল জগতের
ছাগল ছানার খোয়ার বলে খ্যাত, স্থান হতে ফটোশপের দীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ব্লগ, ফেসবুক এ নামে বেনামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, কারণে অকারণে বিপথ গামী উগ্রপন্থী, ধর্মীয় লেবাসধারী কিছু শয়তান প্রকৃতির অমানুষ কী করে ধর্মীয় সহিংসতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ মন্দির ও তাদের বসতিতে হামলার পিছনে যে ধর্মীয় উত্তেজনাকে নিখুঁত ভাবে পরিচালিত হয়েছে এইসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের ক্রমেই তা স্পষ্ট হচ্ছে।
যদি তাই না হতো তাহলে কেন এই সব বীভৎস ছবি গুলো প্রচার করছে জামাত-শিবিরের ব্লগারেরা? এই ছবি দিয়ে তারা কী প্রমাণ করতে চায়, যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করে তার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে ? মোটেই অমূলক ভাবে নিচ্ছি না, কেন নয় আমাদের এই ব্লগ না শুধু বিভিন্ন ব্লগ গুলোতে চিহ্নিত জামাত-শিবিরের ব্লগারেরা এই ধরনের প্রচার কার্য চালিয়ে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে বিডি যাবে ইদানিং অতিথি মন্তব্যকারিরা এই ধরনের ছবি সংযুক্ত করে মন্তব্য করে যাচ্ছে। যদিও এই ধরনের ছবি গুলো ইসলাম ধর্ম কে নিয়ে সংগঠিত কোনও সহিংসতার কারণে হয়নি। তাহলে কেন এই ধরনের অপপ্রচার করছে জামাত-শিবির এর কর্মী খ্যাত ব্লগারেরা ? উদ্দেশ্য একটাই ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি করে জনসাধারণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটে নেওয়া। আর তাই আমাদের প্রয়োজন জনসচেতনতার যেকোনো সহিংসতা পূর্ণ ছবি দেখে যেন আমরা ছবির পিছনে না দৌড়িয়ে ছবির কারণ জানার চেষ্টা করি। যেমন কী কারণে গড়েছিল এই ছবির ইতিহাস ইত্যাদি।
পরিশেষে বলে শেষ করতে চাই, বিভ্রান্তি মূলক ছবি প্রচার করে ফায়দা লোটার চিন্তা করে যারা শান্তির ধর্ম ইসলাম কে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, আমি মনে করি সেই সব কুলাঙ্গারদের কারণে ইসলাম ধর্মের অবস্থান হালকা হয়ে যাচ্ছে। বিতর্কিত হচ্ছে এই শান্তির ধর্মটি। আমি মনে করি এই সব কুলাঙ্গাররা ইসলাম ধর্মকে ক্ষয়ে যাওয়ার শেষ প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসলাম ধর্মে অনুসারী না, তারা কাফের, তারা কুলাঙ্গার, তারা অপবিত্র।
অতএব,
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাচ্ছি এদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
@সুলতান মির্জা।
No comments:
Post a Comment