Wednesday, October 24, 2012

গঠনতন্ত্র নিয়ে ফের তাগিদ জামায়াতকে


Wed, Oct 24th, 2012 10:33 pm BdST
 
মঈনুল হক চৌধুরী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ঢাকা, অক্টোবর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নিবন্ধন নেয়ার চার বছরেও গঠনতন্ত্র সংশোধন না করায় চতুর্থবারের মতো জামায়াতে ইসলামীকে তাগিদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এক বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে না পারলে আগামী নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ইসি গঠনের আট মাস পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা শুরু করেছে।

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে দুই বছর আগে বিগত কমিশন সর্বশেষ তাগিদ দিয়েছিল। এরপর আর কোনো কিছু করা হয়নি।

“সিইসি এখন সব দলের নথিপত্র পর্যালোচনা করছেন। জামায়াতে ইসলামীকে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধনে তাগিদ দিয়ে পত্র দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।”

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শুধু জামায়াত নয়, অসঙ্গতি ধরা পড়লে অন্য দলকেও তা সংশোধনের জন্য বলা হবে বলে জানান মোবারক।

এই বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিবন্ধনের শর্ত পালনে দলীয় গঠনতন্ত্রে কোনো সংশোধন বাদ আছে বলে আমার জানা নেই।

“আগে ইসির চিঠি আসুক, তারপর তা পর্যালোচনা করে দলীয় ফোরামে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।”

আইন অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। বিগত ইসির সময়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এটিএম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি প্রথমে ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দিলেও গঠনতন্ত্র সংশোধন না করায় ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এমআই/২২২৫ ঘ.
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=3&id=208865&hb=top

‘খালেদা চীন-ভারত যেতে পারেন, যেতে পারেন না রামুতে’
Wed, Oct 24th, 2012 5:15 pm BdST
 
শেরপুর, অক্টোবর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রামুকে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার বৌদ্ধদের সহমর্মিতা জানাতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার না যাওয়ার সমালোচনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বুধবার নিজের নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নকলায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, “বিরোধী নেতা চীন সফর করেছেন, আবার ভারত সফরে যাচ্ছেন। কিন্তু বাড়ির কাছে আরশী নগর রামুতে তিনি যাননি।”

গত ২৯ ডিসেম্বর রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা চালায় ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা।

ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বিবৃতি দিয়ে বলেন, চীন থেকে ফিরে তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন। তবে এখন পর্যন্ত তার রামু সফরের কোনো কর্মসূচি আসেনি। ২৮ অক্টোবর তার ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে।

মতিয়া বলেন, “ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে থাকায় যেতে পারেননি। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেখানে গিয়ে কঠোরভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্দেশ দেন। দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী রামুতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, সেখানে নিরাপত্তা বিধান এবং দোষীদের খুঁজে বের করা ব্যবস্থা নিয়েছেন।”

রামুর ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা সেখানকার বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজলকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়ায় বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য নয়, ভিডিও ক্লিপি দেখে দেখে, যারা অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছেন, তাদের ধরা হচ্ছে।”

বুধবার বিকালে কৃষিমন্ত্রী নকলার গৌরদ্বার ইউনিয়নে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুস্থদের মধ্যে ভিজিএফের চাল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ওই অনুষ্ঠানেই রামুর ঘটনা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমআই/১৭০৭ ঘ.
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=208834&cid=3

ধর্ম ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার কে ‘রোহিঙ্গা রাজ্য’ বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে!!

ক্যাটাগরী: 

শুনলে কিছুটা দৃষ্টি কটু মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই বাস্তব। কেন না, বৃহত্তর কক্সবাজার অঞ্চলে এই মুহূর্তে মানবাধিকারের নামে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন আরএসও, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন আরনো, ইত্তিহাদ আল তাল্লুব আল মুসলেমিন আইটিএম, এমএসএফ হল্যান্ড, এসিএফ, মুসলিম এইড-ইউকে, ভার্ক, আরটিআই, রিভ ও সেভ দ্য চিলড্রেন এই ১০টি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা। হাত বাড়ালেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ভুয়া ঠিকানা সংবলিত পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানো রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশের সীমা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে । বিদেশে রোহিঙ্গাদের অপকর্মের দায়ভার নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। অতি সম্প্রতি কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ার বৌদ্ধপল্লীতে হামলার নেপথ্যে রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার বিষয়টি এখন ওই অঞ্চলের ওপেন সিক্রেট এখন গল্পে পরিণীত হয়েছে। বিশ্বাস করতে কস্ট হচ্ছে সবকিছু বোঝার পরও কিসের বদইন্যতায় সরকার বা প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব। সরকার বা তাদের প্রেরিত প্রশাসন এই দ্বায়ভার এড়াতে পারবে না।
সরকারের মনে রাখা প্রয়োজন একটি ধর্মান্ধ ধর্ম ব্যবসায়ী গুষ্ঠী বৃহত্তর কক্সবাজার কে ‘রোহিঙ্গা রাজ্য’ বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বাংলাদেশের এই ধর্মীয় গুষ্ঠীর সাথে মিয়ানমারের কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর সুসম্পর্ক রয়েছে। যার দরুন খুব সহজে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় কর্মরত কয়েকটি বিদেশি এনজিওর মাধ্যমে এই অঞ্চলে অনুপ্রবেশ ও অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
দেশী বিদেশী কিছু জার্নাল বা ওয়েবসাইট ঘাটলে দেখা যাবে গত কয়েক বছর ধরে মিয়ানমার সরকার তাদের সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গুচ্ছগ্রামগুলো এবং খালি জায়গায় রাবার চাষের প্রকল্প শুরু করেছে। আর এজন্য ওই গ্রামগুলো তে পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকার অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে করে মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসে। একই সঙ্গে মিয়ানমার সরকার আরাকানে রোহিঙ্গা অধ্যুসিত গ্রামগুলোর কিছু কিছু জায়গায় মিয়ানমারের অন্য অংশ থেকে স্থানীয় লোকজন এনে বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এইজন্য দেখা দিয়েছে সাপরদায়িক সহিংসতা। পুড়ছে ঘর বাড়ি, নির্যাতন করছে রোহিঙ্গাদের উপর। উদ্দেশ্য একটাই যা এইখান থেকে চলে যা। বাংলাদেশে গিয়ে আস্তানা কর।
পত্রিকা মাধ্যমে জানতে পারলাম, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জইনক ড.ওয়াকার উদ্দীন নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা রোহিঙ্গাদের জন্য লবিং নিয়োগ করেছে যাতে করে রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নমনীয় হয় এবং প্রত্যাগত এইসব রোহিঙ্গাদের কে যেন বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে বৈধ ভাবে থাকতে দেয়। উল্লেখ্য ড.ওয়াকার নিজেও রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত।
ভিবিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি আইটিএম নামের একটি সংগঠন ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে তাদের কার্যক্রমের বিস্তার ঘটিয়েছে। মিয়ানমারের ইউনাইটেড মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশের এখন বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ী গুষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে আইটিএম কক্সবাজার সহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ভাবে বসবাস করার নিমিত্তে বাংলাদেশ সরকার কে বাধ্য করতে কাজ করছে। এই সংগঠনটির লক্ষ্য যে কোনো মূল্যে এ দেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান ধরে রাখা। এবং স্থায়ী ভাবে বসবাস করার অনুমতি নেওয়া। পোস্টের প্রাসঙ্গিক উল্লেখ্য যে বর্তমানে কক্সবাজারের মোট জনসংখ্যা ২২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৫৭ জন। এরমধ্যে রোহিঙ্গা সাড়ে চার লাখের উপরে। টেকনাফের নয়াপাড়া এবং উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩০ হাজার ২২৫ জন। সুত্র: কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
আরেকটা বিষয়ে তথ্য শেয়ার করছি, বর্তমানে কক্সবাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ মসজিদের ইমাম রোহিঙ্গা। এসব ইমাম বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে জিহাদ সংশ্লিষ্ট উগ্রপন্থা সম্পর্কে শিক্ষা দিচ্ছে। যা আমাদের দিচ্ছে রামুর বৌদ্ধ মন্দিরের ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক গঠনার জন্মদান।
আর তাই এখনি প্রয়োজন সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে হয়তো বা একদিন না একদিন বৃহত্তর কক্সবাজার হয়ে যাবে রোহিঙ্গাদের স্বপ্নের সেই নগরী রোহিঙ্গা রাজ্য।
ধন্যবাদ।
@সুলতান মির্জা।

No comments:

Post a Comment