পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি |
নভেম্বর ২৯, ২০১২
নতুন বার্তা :
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরিকল্পনা করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশের শ্রমের বাজার ধ্বংসের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছে। আমরা যেখানেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি যেখানেই রোহিঙ্গা পেয়েছি। তাদের পাসপোর্ট বাতিল করেছি। কাজেই এ সরকারের আমলে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমাদের ভালো ব্যবহার করা সম্ভব নয়। সেটা চারদলীয় সরকারের সময়ে সম্ভব ছিল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে ফজলে রাব্বী মিয়ার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, “আমরা আমলাতান্ত্রিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই কথা বলি। রাষ্ট্রদূত হিসেবে যারা কাজ করেন তারাও আমলা। তাই তাদের কাছ আমলাসুলভ আচরণের বাইরে আশা করতে পারি না। কিন্তু আমাদের দূতাবাসের কর্তকর্তারা আমাদের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করেন। দূতাবাসে পদায়নের সময় আমরা সাধারণত যাদের আচরণে কোনো সমস্যা নেই, তাদের মিশনে দায়িত্ব দেই। তারপরও যদি কেউ কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার হয়, জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমান পদ্ধতির এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। প্রথম পাসপোর্ট কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নিতে হয়। নবায়ন হয়তো বিদেশে করা যায়।”
আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুল মতিন খসরুর সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দূতাবাস মিশনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার ফলে তাদের মধ্যে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা মিশনে সপ্তাহে সাত দিনই কাজ করে।”
তিনি বলেন, “বিদেশে জনশক্তি প্রেরণ প্রক্রিয়ায় জড়িত কিছু অসাধু লোকের কারণে আমাদের শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। বিদেশে আমাদের শ্রমিক যেমন অনেক। আবার তাদের পরিচালিত সংগঠনও অনেক। শ্রমিকদের সংগঠনে কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিশন কর্মকর্তারা না গেলে তারা মাইন্ড করে।”
ফজলুল আজিমের (নোয়াখালী-৬) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ছিটমহল সংক্রান্ত বিষয়টি দীর্ঘদিনের একটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। এটি আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। ১০৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী এ সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা থাকলেও তা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি।”
তিনি বলেন, “ছিলমহলের মানুষেরা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত। তাদের সমস্যা সমাধানে সরকার ভারতের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। ভারত কর্তৃক ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি ও এলবিএ-১৯৭৪ অনুসমর্থনের পর আশা করা যায় শিগগিরই ছিটমহল বিনিময়ের কাজ শুরু করা যাবে। যাতে সমস্যাটির সমাধান হবে।”
No comments:
Post a Comment