Fri, Nov 23rd, 2012 8:59 pm BdST
ঢাকা, নভেম্বর ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বৌদ্ধ বসতিতে হামলাকে বাঙালি জাতিসত্তার ওপর আঘাত হিসাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, এর প্রতিঘাত করতেই হবে।
শুক্রবার বিকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আশরাফ বলেন, “রামুতে হামলার ঘটনা বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি আঘাত। এ আঘাতকে কোনো দিনই গ্রহণ করতে পারি না। আমরা ধর্মের নামে হানাহানিতে বিশ্বাস করি না। সরকার বৌদ্ধ সমাজের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। আপনারা একা নন।”
বাড্ডার ডিআইটি মাঠে শুভ কঠিন চীবর দান ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন আশরাফ। এতে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা ছাড়াও বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ঘটনা তুলে ধরে আশরাফ বলেন, “২৬ বছর লন্ডনে বসবাস করে বর্ণবাদীদের আক্রমণের স্বীকার হয়েছি। আমি নিজে উপলব্ধি করতে পারি মানুষ কত অসহায় হতে পারে।”
রামুতে সহিংহ ঘটনা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় যাদের ব্যর্থতা ছিল তদন্তের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা কক্সবাজারের প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছি।
ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধবসতিতে তাণ্ডব চালায় ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা।
হামলায় রামু উপজেলার সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে।
বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের ওপর এই হামলার ঘটনাকে নতুন দুর্যোগের অশনি সংকেত বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আশরাফ।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে ধর্মীয় স¤প্রীতি ও অসা¤প্রদায়িক দেশ হিসাবে চায় না, যারা দেশে পাকিস্তানী দ্বিজাতি তত্ত্বের বীজ ছড়িয়ে দিতে চায় তাদের উস্কানিতেই এই আক্রমণ করা হয়েছে।
“সা¤প্রদায়িকতা ও ধর্মের নামে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি। বাঙালি জাতিসত্তা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।”
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যখন জঙ্গিদের দমনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তখন কিছু মানুষ জঙ্গিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মানুষরূপী নরপশুরা রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন লাগিয়েছে। সরকারের একজন হিসাবে, জাসদের একজন হিসাবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী-লজ্জিত। বাংলাদেশের সকল নাগরিক আপনাদের পাশে আছে।”
বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ধর্মসেন মহাথেরোর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সাংসদ এ কে এম রহমতউল্লাহ, ঢাকাস্থ ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনার, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি বিশ্বপতি বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়–য়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআই/এএল/২০৪৭ ঘ.
No comments:
Post a Comment