নভেম্বর ২৬, ২০১২
শফিউল ইসলাম আজাদ, উখিয়া:
কক্সবাজারের রামুতে পবিত্র কোরআন অবমাননার জের ধরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়ার বিভিন্ন গ্রামের বৌদ্ধ বিহারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী সহ এজাহারভুক্ত ১২২ জন ও অজ্ঞাত নামা ৫,৫০২ জনকে আসামী করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এসব মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, জমি জমা সহ বিভিন্ন বিরোধ কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্র“তা বশতঃ অনেক নিরপরাধ লোককে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ও সন্দেহে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তৎমধ্যে বেশির ভাগ অজ্ঞাত নামা আসামী। থানা পুলিশ প্রতিরাতে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দিয়ে যাচ্ছে।
সরজমিন গতকাল সোমবার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উখিয়ার বৌদ্ধ বিহার ও পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রকৃত ঘটনাকারীরা মামলা থেকে বাদ যাওয়ায় ন্যায় বিচারের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। তারা বলেন, বর্তমানে এঘটনা রাজনৈতিক পায়দা হাসিলের কারনে সরকারের জনসমর্থন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি হয়েছে। এমনকি দিন দিন জনসমর্থন হারাচ্ছে বলে ও মনে করছেন তারা।
এদিকে পশ্চিম মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধ বিহারে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর মামলার আসামী উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী বলেন, যে সময় ঘটনা শুরু হয়েছে তখন তিনি সহ সদ্য বিদায়ী উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং আরো কয়েকজন প্রশাসনের অফিসারদের নিয়ে উপজেলায় একটি মিটিং এ ছিলাম কিন্তু কেন আসামী হলাম জানিনা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে আসামী হয়েছি। তিনি বলেন, আমি ঘটনার সম্পৃক্ত নাই বলে ঐ বিহার কমিটির নেতৃবৃন্দরা আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পশ্চিম রতœা সুদর্শন বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর মামলার আসামী উখিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, এবং একই মামলার আসামী সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার সময় (সন্ধ্যা ৮.৩০) মিনিটে তারা ২ জন সহ আরো ১২ জন ব্যবসায়িক পার্টনার কক্সবাজার শৈবাল হোটেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকির আমাকে (বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী) কে ফোন দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চান, তখন তিনি কক্সবাজার হোটেল শৈবালে বললে ডিবি জাকির সংযোগ কেটে দেন বলে তিনি জানান। এরপরই রতœাপালং ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাষ্টার সুবধন বড়–য়া আমাকে ফোন করে ঘটনার ব্যাপারে দীর্ঘ ৩০মিনিটের মতো কথা বলেন। মাষ্টার সুবধন বড়–য়া ও এর সত্যতা শিকার করেছেন।
No comments:
Post a Comment