নভেম্বর ৪, ২০১২
অর্পন বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার):
শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া বলেছেন, যারা বৌদ্ধ
সভ্যতাকে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে তারা কখনও ধর্মকে বিশ্বাস করে না। দেশকে অস্থিতিশীল
করার জন্যই রাজনৈতিক ফায়দা লুটেরাচক্র বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছে।
বর্তমান সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত,
ক্ষুদামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। ঠিক তখনই দেশে
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা জানি কারা
ওই সন্ত্রাসীদের লালন করে। সরকার ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ বিহার ও বসতিগুলো পুননির্মানের
উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে নির্মানকাজ দ্রুত হয় তার জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নির্মান
কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের
কাছে ষড়যন্ত্রকারীরা অনেকেই মায়া কান্না দেখাতে আসবে, আপনারা তাদেরকে প্রশ্রয়
দেবেন না। বিএনপি-জামায়াত অতীতেও স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে
সংখ্যালঘুদের নির্মম ভাবে নির্যাতন করেছে। শিল্পমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত
করার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্বোচ্ছার থাকার আহ্বান জানান। তিনি দুঃখ প্রকাশ
করে বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টা থেকে রামুতে তান্ডব লীলা চললেও যথাসময়ে
স্থানীয় কোন নেতাকর্মী তাকে বিষয়টি অবহিত করেননি।
শনিবার দুপুর ২ টায় কক্সবাজারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সুশীল সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রেজভী বলেন, কিছু দিন আগে পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্টানে আমি রামুতে আসি। আমি এখানে এসে দেখেছি রামু ছিল সম্প্রীতির অনন্য স্থান। পরে যখন শুনলাম রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর নির্মম হামলা হামলা চালানো হয়েছে। তখন লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত ও লজ্জিত। আমি ক্ষমা চাওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তবুও আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা যারা করেছে তাদের কোন দল নেই, তাদের কোন ধর্ম নেই।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ চট্টলার আঞ্চলিক সংঘনায়ক রামু সীমা বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাহুল বড়–য়া, ন্যাপ নেতা শামীম আহছান ভুলো, রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের আহ্বায়ক রজত বড়–য়া রিকু, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা তরুন বড়–য়া, নিতীশ বড়–য়া, অলক বড়–য়া, বংকিম বড়–য়া, জেলা পূর্জা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, রহমানিয়া মাদ্রাসার সুপার মৌলানা আমান উল¬াহ। এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন কাজল কান্তি বড়–য়া, কক্সবাজার সহকারী পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা, রামু উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল¬াহ মোহাম্মদ হাছান, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ, উখিয়া সার্কেল মোঃ ফারুখ, রামু থানার ওসি গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, শহর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আছিফুল মওলা, যুব মহিলীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ ও জেলা মহিলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক দ্বিপ্তী রাণী শর্মা প্রমূখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুনীল বড়–য়া। সভায় বৌদ্ধ নেতারা সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীর জানান। প্রধানন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রেজভী রামুর শ্রীকুল লালচিং, সাদাচিং, মৈত্রী বিহার ও অপর্ণাচরন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন।
শনিবার দুপুর ২ টায় কক্সবাজারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সুশীল সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রেজভী বলেন, কিছু দিন আগে পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্টানে আমি রামুতে আসি। আমি এখানে এসে দেখেছি রামু ছিল সম্প্রীতির অনন্য স্থান। পরে যখন শুনলাম রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর নির্মম হামলা হামলা চালানো হয়েছে। তখন লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত ও লজ্জিত। আমি ক্ষমা চাওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তবুও আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা যারা করেছে তাদের কোন দল নেই, তাদের কোন ধর্ম নেই।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ চট্টলার আঞ্চলিক সংঘনায়ক রামু সীমা বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাহুল বড়–য়া, ন্যাপ নেতা শামীম আহছান ভুলো, রামু বৌদ্ধ যুব পরিষদের আহ্বায়ক রজত বড়–য়া রিকু, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা তরুন বড়–য়া, নিতীশ বড়–য়া, অলক বড়–য়া, বংকিম বড়–য়া, জেলা পূর্জা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, রহমানিয়া মাদ্রাসার সুপার মৌলানা আমান উল¬াহ। এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন কাজল কান্তি বড়–য়া, কক্সবাজার সহকারী পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা, রামু উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল¬াহ মোহাম্মদ হাছান, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ, উখিয়া সার্কেল মোঃ ফারুখ, রামু থানার ওসি গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, শহর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আছিফুল মওলা, যুব মহিলীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ ও জেলা মহিলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক দ্বিপ্তী রাণী শর্মা প্রমূখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুনীল বড়–য়া। সভায় বৌদ্ধ নেতারা সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীর জানান। প্রধানন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রেজভী রামুর শ্রীকুল লালচিং, সাদাচিং, মৈত্রী বিহার ও অপর্ণাচরন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন।
No comments:
Post a Comment