হিংসা নয় মৈত্রী, সংঘাত নয় শান্তি-এটাই ছিল গৌতম বুদ্ধের মূল বাণী। এই বাণী
আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। উপমহাদেশের প্রাচীন সম্প্রদায় হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়। আর
সেই ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহার। এটি দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠান। আজ আমি এখানে আসতে পেরে খুব খুশি।
গতকাল সকালে নগরীর বৌদ্ধবিহারের পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর
স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানীতে রূপান্তরে আমরা প্রথম থেকেই কাজ
করে আসছি। ইতোমধ্যে বন্দরের অনেক উন্নতি করেছি। এ ধারা অব্যাহত রেখে চট্টগ্রামের
আরো উন্নয়ন করতে চাই।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ গুরু সংঘরাজ ড.
ধর্মসেন মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতির
চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, মহাসচিব আর্দশ কুমার বড়ুয়া ও প্রধান সমন্বয়কারী
বিপ্লব বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারে মহামান্য বুদ্ধের কেশধাতু সংরক্ষিত
আছে। এই বৌদ্ধ বিহারের ঐতিহ্য রক্ষায় এর পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করা হলো। শুধু
এখানে নয়, আমরা লালমাই পাহাড়, মহাস্থানগড়-এসব ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলোও সংরক্ষণের
উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন,
গতবছর ঢাকায় ৭৩৩টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিয়েছি। বৌদ্ধবিহারের জন্য দুই বিঘা
জমি আমরা বিনামূল্যে দিয়েছি। এই সরকারই প্রথম বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে এবং
তাতে এক কোটি টাকা অনুদান দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা আমরা সকলে মিলে অর্জন করেছি। দেশে সব ধর্মের
সমান অধিকার থাকবে। সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একসাথে দেশের উন্নয়নে কাজ করব। এটাই হচ্ছে
বাঙালির বৈশিষ্ট্য এবং এটাই তাদের ঐতিহ্য।
চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারকে জাতীয় বিহার ঘোষণা প্রসঙ্গে বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান
অজিত রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, আমাদের অনেক দিনের চাওয়া পূর্ণ হল আজ। ১২৪ বছর পুরনো এই
বিহার ঐতিহাসিক ও প্রত্বতাত্তিকভাবে স্বীকৃত। তাই আমরা একে জাতীয় বিহার হিসেবে
ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী তা বিবেচনায় নিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারে প্রধানমন্ত্রী
No comments:
Post a Comment