Tuesday, March 27, 2012

যিশুর জন্ম সমাচারঃ পর্ব ২

যিশুর জন্ম সমাচারঃ পর্ব ১
আগের পর্বে আমরা জেনেছি প্রায় সব সুসমাচার রচয়িতারা যিশুকে ঈশ্বরপুত্র হিসাবে দ্বিধাহীন চিত্তে ঘোষণা করে গেছেন এবং একইসাথে যিশু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্ম গ্রহণ করে্ন বলে মত দেন। কেবল ম্যাথিও এবং লুক ছিলেন কিছুটা ব্যতিক্রমী। ঈশ্বর পুত্র বিশ্বাসের সাথে তাঁদের বাড়তি আস্থা ছিল virgin birth এ। বাইবেল গবেষকরা তাঁদের ব্যতিক্রমী এই বিশ্বাসের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওল্ড টেষ্টামেন্টে ইহুদি জাতির ত্রাণ কর্তারূপে এক ভাবি নবী আগমনের ভবিষ্যত বাণীর একটি শব্দের অর্থগত ভুল বুঝার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেন। তাঁদের এই ভুলের প্রতিফলন ঘটেছিল অন্ধ অনুসারীদের মনে virgin birth এবং ঈশ্বরপুত্র উভয় যুগপৎ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে। সমগ্র ওল্ড টেষ্টামেন্ট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রায় ৬০টি ভবিষ্যৎ বাণী এবং ৩০০ টির অধিক উদ্ধৃতি যাতে স্পষ্ট ঘোষিত হয়েছে ইহুদিদের ভাবি নবী মেসাইয়্যা (Messiah) আগমনের প্রতিধ্বনি। প্রায় ৭০০ বছরের অধিককাল ধরে এই মহাপুরুষের আগমনের প্রতিক্ষায় কিছু ধর্মবাদীর মনে তৎকালীন সমাজে চলে আসা প্রচলিত নানা বিশ্বাস, সংষ্কার, মিথ, কল্পকাহিনি, সমাজ অনুশাসনের নিয়ম কানুন, ঈশ্বরের প্রতিপক্ষ শয়তানের দৌরাত্ম, ইত্যাদি পুঞ্জিভুত ধারনা ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে তৈরী হয়ে যায় একটি চরম বিশ্বাসের, সেই বিশ্বাস ফুলে ফেঁপে টুইটুম্বুর হয়ে এক সময় বিস্ফোরণের ফলে বিশ্বাসী ধর্মাকাশে উৎপত্তি হয়ে যায় মেসাইয়্যার প্রতিকৃতি যিশু নামের এক বিশাল ধর্ম নক্ষত্রের, তাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে শুরু করে উপগ্রহ সদৃশ এই সব সুসমাচার রচয়িতারা। নানা কল্পনার উপকরণে তৈরী হয়ে যায় একটি শক্তিশালী ধর্ম গ্যালাক্সি। যার অভিকর্ষ প্রভাবে গ্রাস করেছিল বিজ্ঞানের রাজ্যে পথ চলা গ্যালেলিও, ব্রুন সহ অসংখ্য মনীষীর দূর্লভ জীবণ। উল্কাপাত ঘটিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার পথ।
যার ভবিষ্যৎ বাণীটিকে ঘিরে এত উন্মাদনা, নতুন বিশ্বাসে আসক্তি, আরো একটি ধর্মের বিকাশ, এত জল্পনা কল্পনা, হাজারো আলোচনা সমালোচনা, বিতর্কের ঝড়ো হাওয়া আজো বয়ে চলেছে পৃথিবীর পথে প্রান্তরে সে রহস্যময় ভবিষ্যৎ বক্তাকে একটু জেনে নিই।

খ্রীষ্ট পূর্ব ৮ম শতাব্দী্র শেষ দিকে ইস্রাইলের উত্তর দিকে অবস্থিত জুডা(Judah) রাজ্যে ইসাইয়্যা(Isaiah) নামের একজন ধর্মশাস্ত্রবিদ ও উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের আস্থাভাজন গোছের ব্যক্তির কথা জানা যায়। যিনি তৎকালীন ইহুদিজাতি গোষ্ঠি অধ্যুষিত ইস্রাইল অ্যাসেরিয়্যান (Assyrian) জাতি (ব্যবেলিয়ান বর্তমান ইরাকের অধিবাসী) কর্তৃক আক্রমণের ফলে উদ্ভুত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় হতোদ্যম ও পর্যুদস্ত ইহুদি জাতির চরম দূর্দশার দিনে ঈশ্বরের উপর অঘাধ আস্থা এনে উদ্দীপনা মূলক একটি ভবিষ্যৎ বাণী ঘোষণা করে হঠাৎ করেই পাদপ্রদীপের আলোয় এসে পড়েন। এই ভবিষ্যৎ বাণী তাঁকে পরবর্তীতে ইহুদি ও খ্রীষ্টান উভয় সম্প্রদায়ের কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ নবীর আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। এই নবীর নবিত্বের জীবনী নিয়ে বিস্তারিত তেমন কোন তথ্য যদিও পাওয়া যায় না তবে এতটুকুই জানা যায় তাঁর পিতার নাম ছিল আমোজ(Amoz)। ব্যক্তি গত জীবনে তিনি ছিলেন শিক্ষিত, আশাবাদী, দেশপ্রেমী, এবং দুই সন্তানের জনক। ৬৮১-৭০১ সালে তাঁর ভবিষ্যৎ বাণীকে ভিত্তি করে একটি গ্রন্থ রচিত হয় তাঁর নামানুসারে গ্রন্থটিকে বলা হয় “The book of Isaiah” । গ্রন্থটি ৬৬টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। ১-৩৯তম পরিচ্ছেদ পর্যন্ত তাঁর নামের মহিমা ঘটা করে জানান দিয়ে গেলেও ৩৯তম পরিচ্ছেদ শেষে তাঁর নাম হঠাৎ করেই যেন উদাও হয়ে যায়। এতে বিশেষজ্ঞরা বিরাট খটকার মধ্যে পড়ে যান। ফলে নানা বিচার বিশ্লেষণের দোলাচালে গ্রন্থটিকে তাঁরা তিন ভাগে বিভক্ত করে নেন।
১ম ভাগঃ ১-৩৯তম পরিচ্ছেদ গুলোকে নাম দেন প্রথম ইসাইয়্যা, Proto-Isaiah বা মূল Isaiah।পরিচ্ছেদে গুলি জেরুসালেমে আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৭৪০-৬৮৭ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল তাতে কারো দ্বিমত নেই।
২য় ভাগঃ ৪০-৫৫তম পরিচ্ছেদ গুলোকে নাম দেন দ্বিতীয় ইসাইয়্যা বা Deutero-Isaiah: এই পরিচ্ছেদ গুলো বেনামী লেখকদের কাজ বলে সাব্যস্ত করেন। যারা ব্যাবিলনের শাসনামলের প্রায় শেষ দিকে বন্দিদশায় থেকে পরিচ্ছেদ গুলো রচনা করেন। আনুমানিক রচনা কাল ধরা হয় খ্রীষ্টপূর্ব ৫৮৭-৫৩৮ সাল।
৩য় ভাগঃ ৫৬-৬৬ পরিচ্ছেদ গুলোকে নাম দেন তৃতীয় ইসাইয়্যা বা Trito-Isaiah এগুলো ব্যাবিলন শাসন মুক্ত হওয়া বেনামী ইসাইয়্যা শিষ্যদের কাজ হিসাবে বিবেচিত। যারা ইসাইয়্যাকে নবী মেনে তাঁর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সামনের দিকে। যাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন পৃথিবী ও নতুন স্বর্গ গড়া। কিছু কিছু গবেষকদের মতে ৫৫-৬৬তম পরিচ্ছেদ Deutero-Isaiah দ্বারা ব্যাবিলনের পতন পর লিখিত হয়েছিল।
এই The book of Isaiah গ্রন্থেই খৃষ্টের জন্মের প্রায় ৭০০ বছর আগে হিব্রু ভাষায় ভবিষ্যৎ বাণীটি ছিল এইরূপ-
“ঈশ্বর নিজেই আপনাকে একটি লক্ষণ দিয়ে দেবেন। দেখবেন, এক যুবতি মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিবে এবং তাকে ডাকা হবে ইমানিউয়েল নামে”।
এই ছিল ইহুদি জাতির ত্রাণকর্তা “মেসাইয়্যা” আগমনের প্রকৃত ভবিষ্যৎ বাণী। কিন্তু নিয়তির লুকোচুরি খেলায় ইহুদি জাতির রক্ষাকর্তা ভাবি নবী “মেসাইয়্যা” নিজেই অপহৃত হয়ে যান। পরিণত হন যিশুতে।
ম্যাথিও এবং লুক এই “যুবতি মেয়ে”কে “কুমারী মেয়ে” বলে স্থির করায় উপরোক্ত ভবিষ্যৎ বানীটি হয়ে যায়-
“ঈশ্বর নিজেই আপনাকে একটি লক্ষণ দিয়ে দিবেন। দেখবেন, এক কুমারী মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিবে এবং তাকে ডাকা হবে ইমানিউয়েল নামে”।
Isaiah 7:14
Therefore the Lord himself will give you a sign. Behold, the virgin shall conceive and bear a son, and shall call his name Immanuel.
এই Immanuel কথাটার সামগ্রিক অর্থ “God with us ” অর্থাৎ ঈশ্বর আমাদের সাথে আছেন। অধিকাংশ উদার ধর্মতত্ত্ববিদ এবং বাইবেল বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন ম্যাথিও এবং লুকি virgin ধারনার বিশ্বাসটির প্রতি আস্থা এনেছেন হিব্রু “আলমাহ”(almah) শব্দটির অর্থগত ভুল বুঝার কারণে। হিব্রু ভাষায় যা আসলে কোন “যুবতি মেয়ে” বুঝায়। এই “আলমাহ” শব্দটিকে ম্যাথিও এবং লুক হিব্রু থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করতে গিয়ে “যুবতি মেয়ে”র স্থলে অনুবাদজনিত ভ্রান্ত বিশ্বাসের কারনে কল্পনা করে নেন “পারথিনোস” (parthenos) অর্থাৎ “কুমারী মেয়ে” (এখানে কুমারী মেয়ে বলতে আপনাকে বুঝতে হবে অক্ষত যোনী হিসাবে)। যা পরবর্তীতে virgin Birth ধারনা প্রতিষ্ঠার পেছনে অনবদ্য শক্তি হিসাবে কাজ করে বলে বিশ্বাস করেন নাস্তিক, সন্দেহবাদী এবং ধর্ম নিরপেক্ষবাদীরা। এই “almah” শব্দটি হিব্রু শাস্ত্রে “যুবতি মেয়ে” রূপে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৯ বার উল্লেখ আছে তবে “যুবতি মেয়ে”টি কুমারী ছিল কি ছিল না তা নিয়ে বির্তক অবশ্য কোথাও পাওয়া যায় না। হিব্রু ভাষারীতি অনুসারে কুমারী বুঝাতে ব্যবহৃত হয় “বিতুলাহ”(betulah) শব্দটি।
সেই প্রাচীণ মিসর, গ্রীক, রোম ও তার আশেপাশের প্যাগান সংষ্কৃতিগুলোতে পূজিত হওয়া প্রচুর দেব দেবীর উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় বিশ্বাস করা হত তাঁদের জন্ম হয়েছিল কুমারী মায়ের গর্ভে। প্রাচীণ প্যাগান লোক কাহিনিগুলো ভরপুর ছিল অসংখ্য কুমারী মায়ের গল্পে। কয়েকটি উদাহরণ দেখি- গ্রীক দেবতা লিডা(Leda) কুমারী মায়ের গর্ভে জন্ম, মিসরীয় দেবতা “রা”(Ra) বা “সূর্য” কুমারী মায়ের গর্ভে জন্ম, রোমান দেবতা রোমুলুসের(Romulus) জন্ম কুমারী মায়ের গর্ভে, এরকম আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যেতে পারে কুমারী মায়ের বিশ্বাস প্রসঙ্গে। সে যুগের সমাজে নানা অলৌকিক বিশ্বাস ঘুরাঘুরি করত মুখে মুখে, চলে আসত তা বংশ পরম্পরায়। পূজিত সব দেবতাই কল্পিত হত বিপুল অলৌকিক শক্তির আধার রূপে। বলা যেতে পারে অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়ে গিয়েছিল অলৌকিক শক্তিহীন দেবতা পূজার অযোগ্য। তাই বড় বড় দেব-দেবীর জন্ম প্রসঙ্গে আমরা একথা সহজেই বলতে পারি দেবতাদের অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখতে যৌন নয় বরং অযৌন ক্রিয়ায় জন্মের প্রতি সে সমাজের সাধারণ লোকজনের বিশ্বাস, ভক্তি ও শ্রদ্ধা ছিল অঘাধ। কোন এক সময় দেবতাদের প্রতি এই অলৌকিক ক্ষমতা বিশ্বাসের দীর্ঘ রেওয়াজ শুধু দেবতাদের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ রইলনা সে বিশ্বাস ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছিল নবী বলে কথিত কিছু লোকজনের উপর। আমাদের দেশে সাধু, সন্ন্যাসী, পীর, দরবেশ সম্পর্কে এই বিশ্বাস এখনো বর্তমান। আর সেই একি বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখি চারপাশে এত কুমারী মায়ের গল্পের ভীড়ে বেড়ে ওঠা ম্যাথিও এবং লুকের মনের পর্দায়। তাই মনে করা হয় এই সব প্রচলিত কাহিনিগুলো প্বার্শচরিত্রের মত বড় অনুপ্রেরণা ও সাহায্য যুগিয়ে গেছে ম্যাথিও এবং লুককে কুমারী মায়ের গল্পের মত অলৌকিক কথায় বিশ্বাসী হতে।
ম্যাথিও এবং লুকের বিশ্বাসের এই বীজ শেষ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনি শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমেই দেশ কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা সংক্রমিত হয়েছে মরুর কোলে জন্ম নেওয়া একি ধর্মবৃক্ষের নতুন শাখা ইসলামে। আদর্শে ভিন্নতা থাকলেও পূর্ববর্তী নবীর পদাঙ্ক স্বীকার করে অনুসারীদের সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টায় অলৌকিক কাল্পনিক চরিত্র যিশুকে ঈসা নবীর মর্যাদায় আসন দিয়ে কুমারী মায়ের মত বিতর্কিত জন্মমতকে জোরালো সমর্থন জানাতে কার্পন্য করেনি ইসলামের নবী কোরানে-
সূরা মারইয়াম (১৯:১৬-২১)
এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল। অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল। মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও। সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব। মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ? সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।
বাইবেলের যিশুকে ঈসা নবী এবং তাঁর virgin birth কে কৌশলগত কারণে অন্ধের মত সমর্থন করে গেলেও স্বার্থগত কারণে একি বাইবেলের যিশুকে ঈশ্বরের পুত্র এবং ক্রুশবিদ্ধ হওয়াকে মোটেই সমর্থন করে না কোরান-
“বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই”। (কোরান ১১২:১-৪)
“আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি”। (কোরান ৪:১৫৬-১৫৭)
আহা! কি বিচিত্রই না বিশ্বাসের রকমফের!
(চলবে)
লেখক: রাজেশ তালুকদার,
লন্ডন থেকে.

No comments:

Post a Comment