Thursday, January 17, 2013

কক্সবাজারে রোববার জামায়াতের হরতাল উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার


নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি | তারিখ: ১৭-০১-২০১৩

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সহসভাপতি শাহজালাল চৌধুরীকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী রোববার কক্সবাজার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত। 
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজাদ মিয়া প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাবুল আকতারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শাহজালাল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উখিয়ার মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় থানা পুলিশ বাদী হয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজালাল চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করে। বৌদ্ধমন্দিরে হামলার পরদিন বিকেল থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল ও আজ তিনি কর্মস্থলে যান এবং উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর বলেন, জামিনের বিষয় তাঁদের জানা নেই এবং এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র থানায় আসেনি।
কক্সবাজারে হরতাল রোববার
বৌদ্ধমন্দিরে হামলার ঘটনায় জেলা জামায়াতের সহসভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী রোববার কক্সবাজারে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জি এম রহিমুল্লাহ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে শাহজালাল চৌধুরী তিন দিন আগে উখিয়ায় আসেন। কিন্তু আজ পুলিশ অন্যায়ভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি। শাহজালাল চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে আগামী রোববার কক্সবাজার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা (পূর্ণদিবস) হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।’

উখিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষোভ 
এদিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়াতের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ও কোটবাজার স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সড়ক অবরোধ করেন। পরে উখিয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে যান।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা উখিয়ায় সতর্কাবস্থানে রয়েছেন। 
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে হামলা চালিয়ে রামুর ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও ৩০টির বেশি বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফে আরও সাতটি মন্দির ও ১১টি বসতিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ১৯টি মামলায় ১৫ হাজার ১৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এসব মামলায় ৪৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ প্রথম আলোয় ‘সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের ধরতে মানা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment