Wednesday, November 28, 2012

Six robbers held in Ctg


Your Right To Know
Wednesday, November 28, 2012

Police arrested six people from Rangunia upazila of Chittagong in connection with a robbery incident at a Buddhist meditation centre in the upazila early yesterday.
The arrestees are Rafiqul Islam, Abul Hashem, Abu Taher, Mohammad Musa, Md Emran, and Md Rashed. Booties were recovered from their possession.
Valuables including a Bouddha statue made by eight metals, a donation box, and an Instant Power Supply (IPS) unit were looted from "Ottodip International Meditation Centre" in Uttar Ghattek area between 1:15am and 1:30am yesterday, police said.

Quotas for Harijans at education instts sought

A total of 133 meritorious students from Harijan families, who passed the SSC 
and HSC examinations this year, were accorded reception at Jatiya Press Club 
in the capital yesterday. Bangladesh Harijan Oikya Parishad and FAIR, a local NGO,
 in association with Manusher Jonno Foundation, hosted the programme. Photo:
STAR


Your Right To Know
Wednesday, November 28, 2012


Speakers at a programme yesterday urged the government to preserve quotas at all government educational institutions for students from the underprivileged and discriminated Harijan community.
The Harijan children are being deprived of their rights to education, as they are not easily allowed in educational institutions, they told a reception ceremony hosted for the community's 133 meritorious students who passed the SSC and HSC examinations this year.
Bangladesh Harijan Oikya Parishad and FAIR, a local NGO, in association with Manusher Jonno Foundation, organised the event at the capital's Jatiya Press Club.
Rashed Khan Menon, chief of the parliamentary body on the education ministry, said he would encourage the education ministry to introduce a quota system for the community's students at all educational institutions.
He said the government had taken some initiatives to improve life in the community, but they were not getting the benefits due to flawed implementation.
Menon welcomed Dhaka University authorities' decision to preserve one percent of the seats as quota for Harijan students.
Dr Shamsul Bari, chairman, Research Initiatives Bangladesh, said there was no way to eliminate discriminations against Harijans until their children got educated.
The society has a responsibility to create opportunity for these meritorious children so that they could contribute to their community as well as to the country, said Aroma Dutta, member of National Human Rights Commission.

Monday, November 26, 2012

টেকনাফে সংখ্যালঘু পল্লীর সহিংস ঘটনার মূল নায়ক যুবলীগ নেতা আটক

CoxsBazarNews ( CBN ) , Editor & Publisher  : Prof. Akter Chowdhury,  Executive Editor: Zahed Sarwar Sohel, News Editor: Sarwar Azam Manik, CBN Cell: 01711-315171,CBN News Email: primecox@yahoo.com
নভেম্বর ২৩, ২০১
মুহাম্মদ তাহের নঈম,টেকনাফ(কক্সবাজার): টেকনাফে সংখ্যালঘু পল্লীর সহিংস ঘটনার মূল নায়ক যুবলীগ নেতা মমতাজ মিয়াকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
সকল জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা হোয়াইক্যং সংখ্যালঘু পল্লীতে হামলার মুল পরিকল্পনাকারী ও এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি এসআই বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ উনচিপ্রাং এলাকার ধানবনে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মমতাজ মিয়াকে (৩৫) আটক করে। তিনি স্থানীয় লম্বাবিল তেচ্ছি ব্রীজ এলাকার মৃত জাফর মিয়ার পুত্র। আটককৃত মমতাজ ৩০ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে হোয়াইক্যং সংখ্যালঘু পল্লীর সহিংস ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য,কিছুদিন আগে ৩০ সেপ্টেম্বর হোয়াইক্যং সংখ্যালঘু পল্লীর সহিংস ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হোয়াইক্যং এলাকা থেকে মমতাজ নামক এক ব্যক্তিকে আটকের পর ছেড়ে দিলে এলাকায় হৈছৈ পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার প্রকৃত আসামী গ্রেপ্তার হওয়ায় এবং ধৃত আসামীদের পুলিশি জিজ্ঞাবাদে ৩০ সেপ্টেম্বরের সহিংস ঘটনার উস্কানিদাতা মিছিলের আহবানকারী প্রচারকারী নেতৃত্বদানকারী এর সাথে সহায়তাকারী ও জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

সাংস্কৃতিক আন্দোলন বেগবান করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে হবে: হেমন্তিকা



CoxsBazarNews ( CBN ) , Editor & Publisher  : Prof. Akter Chowdhury,  Executive Editor: Zahed Sarwar Sohel, News Editor: Sarwar Azam Manik, CBN Cell: 01711-315171,CBN News Email: primecox@yahoo.com
নভেম্বর ২৫, ২০১

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
দেশে বর্তমানে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের ফসল ৭২ এর সংবিধান পুর্ন বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে ৭১এর পরাজিত শত্র“রা দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বারে বারে দেশের প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মীদের কন্ঠ রোধ করতে বিভিন্ন হামলা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সকল প্রগতিশীল সংস্কৃতি কর্মীদের এক হয়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বেগবানের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দাড়াতে হবে।
গত ২৩ নভেম্বর’ ১২ কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী (শহীদ দৌলত ময়দানে) অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন হেমন্তিকা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৪দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত সমাপনি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এই কথা বলেন। “ধর্মান্ধ দানব নয় আলোকিত মানব চাই” স্লোগানে অনুষ্ঠিত হেমন্তিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত ও হেমন্তিকার দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা হেমন্তিকার সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোশ্তাক আহমদ এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক বাদল চন্দ্র বড়–য়া। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সকাল ১১টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ১২টায় বালিশ প্রতিযোগীতা। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানে ছিল আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পী ও হেমন্তিকার শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৬টায় আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যা ৭টায় চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান ও হেমন্তিকার প্রাক্তন সংগঠক ও কর্মীবৃন্দদের সম্মাননা প্রদান।
সমগ্র অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, হেমন্তিকার উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, জেলা উদীচীর সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, শিল্প একাডেমির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিশু, হেমন্তিকার সাধারণ সম্পাদক অনিল দত্ত, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব দীপক শর্মা দিপু। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হেমন্তিকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার রনি।

উখিয়া বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর মামলায় প্রকৃত আসামীরা বাদ যাওয়ায় সরকার জনসমর্থন হারাতে বসেছে


CoxsBazarNews ( CBN ) , Editor & Publisher  : Prof. Akter Chowdhury,  Executive Editor: Zahed Sarwar Sohel, News Editor: Sarwar Azam Manik, CBN Cell: 01711-315171,CBN News Email: primecox@yahoo.com
নভেম্বর ২৬, ২০১২ 



শফিউল ইসলাম আজাদ, উখিয়া:
কক্সবাজারের রামুতে পবিত্র কোরআন অবমাননার জের ধরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়ার বিভিন্ন গ্রামের বৌদ্ধ বিহারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী সহ এজাহারভুক্ত ১২২ জন ও অজ্ঞাত নামা ৫,৫০২ জনকে আসামী করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এসব মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, জমি জমা সহ বিভিন্ন বিরোধ কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্র“তা বশতঃ অনেক নিরপরাধ লোককে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ও সন্দেহে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। তৎমধ্যে বেশির ভাগ অজ্ঞাত নামা আসামী। থানা পুলিশ প্রতিরাতে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দিয়ে যাচ্ছে।
সরজমিন গতকাল সোমবার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উখিয়ার বৌদ্ধ বিহার ও পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রকৃত ঘটনাকারীরা মামলা থেকে বাদ যাওয়ায় ন্যায় বিচারের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। তারা বলেন, বর্তমানে এঘটনা রাজনৈতিক পায়দা হাসিলের কারনে সরকারের জনসমর্থন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি হয়েছে। এমনকি দিন দিন জনসমর্থন হারাচ্ছে বলে ও মনে করছেন তারা।
এদিকে পশ্চিম মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধ বিহারে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর মামলার আসামী উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী বলেন, যে সময় ঘটনা শুরু হয়েছে তখন তিনি সহ সদ্য বিদায়ী উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং আরো কয়েকজন প্রশাসনের অফিসারদের নিয়ে উপজেলায় একটি মিটিং এ ছিলাম কিন্তু কেন আসামী হলাম জানিনা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে আসামী হয়েছি। তিনি বলেন, আমি ঘটনার সম্পৃক্ত নাই বলে ঐ বিহার কমিটির নেতৃবৃন্দরা আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পশ্চিম রতœা সুদর্শন বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর মামলার আসামী উখিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী, এবং একই মামলার আসামী সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার সময় (সন্ধ্যা ৮.৩০) মিনিটে তারা ২ জন সহ আরো ১২ জন ব্যবসায়িক পার্টনার কক্সবাজার শৈবাল হোটেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকির আমাকে (বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান চৌধুরী) কে ফোন দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চান, তখন তিনি কক্সবাজার হোটেল শৈবালে বললে ডিবি জাকির সংযোগ কেটে দেন বলে তিনি জানান। এরপরই রতœাপালং ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাষ্টার সুবধন বড়–য়া আমাকে ফোন করে ঘটনার ব্যাপারে দীর্ঘ ৩০মিনিটের মতো কথা বলেন। মাষ্টার সুবধন বড়–য়া ও এর সত্যতা শিকার করেছেন।



Friday, November 23, 2012

থাকছে প্রশিক্ষণ ও ঋণের সুযোগ - দলিত, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায়ের জন্য ১০ কোটি টাকার কর্মসূচি


মানসুরা হোসাইন | তারিখ: ২৪-১১-২০১২

দেশে প্রথমবারের মতো ‘বেদে, দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের জীবন উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অনুন্নয়ন বাজেট থেকে প্রস্তাবিত কর্মসূচিতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
সূত্রমতে, বর্তমানে কর্মসূচির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে গত জুলাই থেকে, চলবে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। এক বছরের পরীক্ষামূলক (পাইলট) কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করবে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে দলিত, হরিজন ও বেদেদের সংখ্যা প্রায় ৬৩ লাখ। এদের মধ্যে ২১ হাজার ৩৫০ জন উপকারভোগীর জন্য কর্মসূচিটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় এককালীন অনুদান ছাড়াও থাকছে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া, ঋণ ও মাসিক ভাতা বিতরণ প্রভৃতি। 
সরকারি তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে আটটি গোত্রে বিভক্ত বেদে সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যা প্রায় আট লাখ। এদের শতকরা ৯৮ ভাগ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ক্ষুদ্র ব্যবসা, তাবিজ বিক্রি, সাপের কামড়ের চিকিৎসা, সাপের খেলা দেখানো, ভেষজ ওষুধ বিক্রি, কবিরাজি, বানর খেলা দেখানো ও জাদু দেখানো এ সম্প্রদায়ের প্রধান পেশা।
প্রস্তাবনায় দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বলা হয়েছে, এরা সমাজে নিম্ন মর্যাদার জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এই দুই সম্প্রদায়ের ৫৫ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে হরিজনদের সংখ্যা ১৫ লাখ, বাকি ৪০ লাখ দলিত সম্প্রদায়ের।
দলিত অর্থ নিগৃহীত বা যারা দলনের শিকার। এরা মেথর, বাঁশফোর, ডোমার, রাউত, তেলেগু, ঋষি, জেলে, সন্ন্যাসী, বেহারা, ধোপা, হাজাম, নিকারি, পাটনি, তেলী প্রভৃতি নামে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। 
বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব রাজকুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষা, বাসস্থান, চাকরি পাওয়ার মতো বিষয়েও আমাদের দাবি জানাতে হয়। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা-কর্মীর চাকরিটি টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ পর্যন্ত যেতে হয়েছে।’ 
হরিজনদের সার্বিক অবস্থা প্রসঙ্গে রাজকুমার আক্ষেপ করে জানান, আট বাই আট ফুট আয়তনের একটি ঘরের মধ্যে বাবা, মা, বউ, বাচ্চা, ছেলের বউসহ কয়েক প্রজন্মকে একসঙ্গে থাকতে হয়। সরকার যেখানে থাকার জায়গা দিয়েছে তা এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে সারাক্ষণ ভয়ে থাকতে হয়। তবে সরকারের কিছুটা উদ্যোগের ফলে বর্তমানে তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, গুলশান এলাকায় বেদে নারীদের হাতে থাকে ছোট একটি কাঠের বাক্স। একেকজনের সামনে গিয়ে সেই বক্স দেখিয়ে ভেতরে সাপ আছে—এমন ভয় দেখান। এটা দেখে কেউ বা ভয়ে, কেউ বা করুণা করে কিছু টাকা দেন। অনেক সময় টাকার জন্য পথরোধ করে দাঁড়ান বেদে নারীরা।
ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরে কথা হয় বেদে নারী লক্ষ্মীর সঙ্গে। তিনি প্রতিদিন সাভার থেকে আসেন। সঙ্গে একটি ছোট বাচ্চা। লক্ষ্মী জানান, পুরুষ বেদেরা সাপের খেলা দেখিয়ে বা অন্যভাবে টাকা রোজগার করেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো কেউ সাপের খেলা দেখে না বা দেখলেও টাকা দেয় না। এ সম্প্রদায়ের নারীদের কেউ কাজ দেয় না। ফলে বাধ্য হয়েই তিনি এ পথ বেছে নিয়েছেন।
জানা যায়, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, বরিশাল, ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেদে সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। দলিত ও হরিজনদের জন্য কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে দেশব্যাপী।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হোসেন মোল্লা প্রথম আলোকে জানান, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় এনে এই সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বিশেষ নজর দিয়ে এ কর্মসূচি পরিচালনা করতে চাচ্ছে।
বাংলাদেশ দলিত ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মেসবাহ কামাল প্রথম আলোকে জানান, অর্থনৈতিক অবস্থার চেয়েও মানুষের তৈরি বৈষম্য দলিত (বেদেসহ) সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেরিতে হলেও সরকার গৃহীত এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

Kathin Chibar Daan fest begins in Rangamati

An elderly Chaka woman makes threads by spinning wheels at Bain Ghar(weaving house) at Rajban Biharin Rangamati on the occasion of Kathin Chibar Daan, the biggest religious festival of the Buddhist community, yesterday. Chakma Raja (king) Barrister Devasish Roy looks on.Photo: STAR


Your Right To Know
Friday, November 23, 2012


Kathin Chibar Daan, the biggest religious festival of the Buddhist people in Chittagong Hill Tracts (CHT), began yesterday at Rajban Bihar of the Chakma king with great enthusiasm and festivity.
Earlier, the festival committee, known as Upasak Upasika Parishad (UUP), of Rajban Bihar had completed all preparations to hold the 39th Kathin Chibar Daan festival this year.
The two days programme includes Pancha Shila prayers by weavers, making threads by spinning wheels, boiling, colouring and drying of threads, sewing of chibar (robes), hoisting Buddhist flag, donation of chibars to the monks and candle lighting etc.
Bishakha, a nurse of Goutam Buddha, introduced the religious festival about 2500 years ago. Since then the Buddhist community celebrate the Kathin Chibar Daan or the yellow robes offering ceremony every year.
The chibars (robes) are made of cotton and sewed by devotees under several preconditions for which it is termed kathin (difficult).
The entire Rangamati town wore a festive look yesterday. Thousands of people, mostly Buddhist devotees from three hill districts---Rangamati, Bandarban and Khagrachhari gathered in and around the Rajban Bihar.
Chakma Raja (king) and chief of Chakma Circle Barrister Devasish Roy inaugurated the festival through opening the Bain Ghar (sewing room) and spinning wheel at 3:00pm at Rajban Bihar.
In his speech, Raja Devasish said every year we hold this great religious festival to uphold our religious spirit amongst the Buddhist people and to preserve our tradition and customs that we have been following since time immemorial.
The Chakma Raja sought all-out cooperation from all to hold the programme peacefully. He greeted the people of different religions and called for maintaining religious harmony.
On the occasion, a village fair has been arranged in and around Rajban Bihar.
Tourists from Sri Lanka, Thailand, India, Germany and Nepal were seen at Rajban Bihar yesterday.