ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০১১, ২৬ কার্তিক ১৪১৮, ১৩ জিলহজ ১৪৩২
পাকিস্তানের স্কুলগুলোতে সংখ্যালঘুদের ঘৃণা করতে শেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের পাঠ্যসূচিতে হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ও অসহিষ্ণু মনোভাব পোষণে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সংখ্যালঘুদের ‘ইসলামের শত্রু’ মনে করছেন সেখানকার অধিকাংশ শিক্ষক।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত মার্কিন সরকারের একটি কমিশনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে বলে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
পাকিস্তানে কতটা ব্যাপকভাবে কট্টর ইসলামের বিস্তার ঘটছে এবং দেশটিতে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণ এ প্রতিবেদনে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের চেয়ারম্যান লিওনার্দো লিও বলেন, ‘বৈষম্য সৃষ্টিকারী শিক্ষা দেওয়ার ফলে দেশটিতে উগ্র ধর্মপন্থীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এতে ধর্মীয় স্বাধীনতা, জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়ছে।’
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ এবং আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জঙ্গিদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সমর্থন দেশটিকে ভাবমূর্তি সংকটে ফেলে দেয়। এমন কী সে সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় অনেককেই প্রাণ দিতে হয়।
মার্কিন সরকারের ওই কমিশনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনে বিশেষত শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেশটির কট্টরপন্থীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে। পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের প্রথম থেকে দশম গ্রেডের ১০০টির বেশি পাঠ্যপুস্তকের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংশ্লিষ্টরা। তারা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭টি বেসরকারি স্কুলের ২৭৭ জন এবং ১৯টি মাদ্রাসার ২২৬ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।
পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ইসলামীকরণ শুরু হয় মার্কিন-সমর্থিত একনায়ক জেনারেল জিয়াউল হকের শাসনামল থেকে। তিনি ইসলামপন্থীদের তাঁর সমর্থক মনে করতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে সরকার পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন অসংগতি দূর করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের চরিত্র-চিত্রণের ক্ষেত্রে সবার নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষণীয়।
১৮ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানের এক শতাংশের কিছু বেশি মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর প্রায় দুই শতাংশ খ্রিষ্টান। এ ছাড়া বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মের অল্প কিছু মানুষ আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের তুলনায় খুব কম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত মার্কিন সরকারের একটি কমিশনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে বলে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
পাকিস্তানে কতটা ব্যাপকভাবে কট্টর ইসলামের বিস্তার ঘটছে এবং দেশটিতে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণ এ প্রতিবেদনে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের চেয়ারম্যান লিওনার্দো লিও বলেন, ‘বৈষম্য সৃষ্টিকারী শিক্ষা দেওয়ার ফলে দেশটিতে উগ্র ধর্মপন্থীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এতে ধর্মীয় স্বাধীনতা, জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়ছে।’
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ এবং আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জঙ্গিদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সমর্থন দেশটিকে ভাবমূর্তি সংকটে ফেলে দেয়। এমন কী সে সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় অনেককেই প্রাণ দিতে হয়।
মার্কিন সরকারের ওই কমিশনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনে বিশেষত শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেশটির কট্টরপন্থীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে। পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের প্রথম থেকে দশম গ্রেডের ১০০টির বেশি পাঠ্যপুস্তকের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংশ্লিষ্টরা। তারা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭টি বেসরকারি স্কুলের ২৭৭ জন এবং ১৯টি মাদ্রাসার ২২৬ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।
পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ইসলামীকরণ শুরু হয় মার্কিন-সমর্থিত একনায়ক জেনারেল জিয়াউল হকের শাসনামল থেকে। তিনি ইসলামপন্থীদের তাঁর সমর্থক মনে করতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে সরকার পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন অসংগতি দূর করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের চরিত্র-চিত্রণের ক্ষেত্রে সবার নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষণীয়।
১৮ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানের এক শতাংশের কিছু বেশি মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর প্রায় দুই শতাংশ খ্রিষ্টান। এ ছাড়া বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মের অল্প কিছু মানুষ আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের তুলনায় খুব কম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment