Tuesday, May 21, 2013

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ধর্মীয় স্বাধীনতা রিপোর্ট ২০১২ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণে প্রাণহানি ঘটছে


ইত্তেফাক রিপোর্ট
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৩, ৭ জৈষ্ঠ্য ১৪২০, ১০ রজব ১৪৩৪
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলার কারণে প্রাণ ও সম্পদহানি ঘটছে। বেশির ভাগ সময় এসব আক্রমণের ধরন হয় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট। কিন্তু সংখ্যালঘুদের ওপর এ ধরনের হামলার কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ধর্মীয় স্বাধীনতা রিপোর্ট ২০১২ তে বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এ কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ফতেহপুর, সাতক্ষীরা, রামু, উখিয়া ও কক্সবাজারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপর বিক্ষিপ্ত হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা সাধারণ সামাজিক অবস্থানে নিচের দিকে রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক অবস্থানও তেমন ভালো নয়। তবে দেশটির সংবিধান, আইন ও সরকারের নীতি ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে। সরকারও সাধারণত ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গত এক বছরে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারের মনোভাবের কোনো তাত্পর্যপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যায়নি। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ধর্মীয় বিবেচনায় সরকারী চাকরিতে নিয়োগ দেয়ারও কোনো কথা শোনা যায়নি। এমনকি গত কয়েক বছরের মতো সংখ্যালঘুদের সম্প্রদায়ের লোকদের সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারী চাকরিতে বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ ওঠেনি। 

রিপোর্টে বলা হয়, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং আহমাদিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুরা সুন্নি মুসলিমদের হাতে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়। তবে এক্ষেত্রে সরকার ও নাগরিক সমাজের বক্তব্য হলো, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এখানে এককভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসকে দায়ী করা যায় না। রিপোর্টে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার সরকারকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়।

No comments:

Post a Comment