Thursday, February 28, 2013

Hindus under attack 6 temples, houses burnt outside Dhaka


Your Right To Know
Friday, March 1, 2013
The charred remains of a house burnt by Jamaat-Shibir men
 in Noakhali yesterday. Photo: Banglar Chokh
Lashing a déjà vu of 1971, Jamaat-Shibir fanatics yesterday wrecked havoc on the Hindu community across the country.
They damaged at least six temples, including one of Buddhists, and torched houses and business establishments of Hindu people in Noakhali, Gaibandha, Chittagong, Rangpur, Sylhet, Chapainawabganj and elsewhere in the country.
In Rajganj of Noakhali, Jamaat-Shibir men set ablaze a temple and eight houses of the Hindu community.
They also traded bullets with law enforcers in Datterhat under Sadar Police Station and in Rajganj under Begumganj Police Station, leaving two people killed. The deceased were identified as Khokon, 17, a pickup van assistant, and Liton (28), a fish monger, reports our Noakhali correspondent.
The Jamaat-Shibir men also looted a jewellery shop owned by one Biplob Sarkar at Chandraganj Purbo Bazar in Begumganj.
Witnesses and police said hours after top Jamaat leaders Delawar Hossain Sayedee had been sentenced to death, the marauding activists equipped with firearms, iron rods and kerosene set fire to Harishiva temple in Rajganj market area at 3:30pm.
"They returned an hour later. This time we were left with no choice but to flee the area, as they started torching our houses with kerosene," schoolteacher Shankar Chandra, who lost his house in the attack, told The Daily Star over the phone.
Some 50 Hindu people used to live in the houses burnt down, he said, adding that all but a few people had managed to escape to safety. Those left behind had been beaten up and kicked out of their houses by the Jamaat-Shibir attackers.
"We ran for our lives leaving everything behind. I was only seven during the Liberation War in 1971, but it didn't feel this insecure even then," said Shankar Chandra.
During the attack, the Jamaat-Shibir men also threatened newsmen to keep from covering the incident and took away cameras of photojournalists. They also forcefully picked up television crew Mohtasim Billah Sabuj. Locals later rescued Sabuj and took him to safety.
Assistant Police Superintendent (ASP) of Begumganj circle Mahbub Alam told The Daily Star that informed of the arson, police and firefighters had reached Rajganj around 5:00pm. Police had a hard time containing the violence in the area, as Jamaat-Shibir men had outnumbered the law enforcers.
When police tried to bring the situation under control, an exchange of gunshots between the attackers and law enforcers took place. Fish monger Liton died in the incident, said the ASP.
Almost at the same time, another group of Jamaat-Shibir men clashed and traded gunfire with police at Datterhat area leaving Khokon bullet-hit. He was declared dead when taken to Sadar hospital.
CHITTAGONG
Jamaat-Shibir men attacked two Hindu-majority localities at Jaldi union of Banshkhali upazila and set ablaze a Buddhist temple at Satkania upazila of the district yesterday.

They set fire to houses at Dhopapara and Mohajonpara of the union and attacked people with sticks, iron rods and sharp weapons, said Inspector Md Shahjahan of Banshkhali Police Station.
Two people had been critically wounded in the attack, said the inspector, adding that the injured had been undergoing treatment at upazila health complex.
Jamaat-Shibir men also set ablaze three shops belonging to Hindu people at Kaliaish union of Satkania upazila, said Additional Superintendent (South) Md Iltutmish of Chittagong Metropolitan Police.
GAIBANDHA
Rioters of Jamaat-e-Islami and student body Islamic Chhatra Shibir attacked a temple and business establishments belonging to Hindus at Bhelkobazar in Sundarganj upazila of the district yesterday afternoon.

Later in the evening, they swooped on and vandalised some houses in Shovaganj union.
Meanwhile, Hindu community leaders last night told The Daily Star that vandalism, arson and looting took place in temples, houses and business establishments of Hindu people in Sylhet, Rangpur, Thakurgaon, Laxmipur and Chapainawabganj.
According to them, attackers had vandalised the central Kali temple at Mithapukur upazila in Rangpur and another at Kansat in Chapainawabganj.
"We are observing the situation. So far we have heard they had attacked and vandalised temples, houses and business establishments of Hindu people at least in 10 districts," said Nirmal Chatterjee, secretary general of Dhaka Mahanagar Puja Committee.
"We have informed law enforcers of the situation and sought security to the Hindu community," he added.

কুমিল্লায় প্রতিমা ভাঙচুর, বাঁশখালী ও নোয়াখালীতে হিন্দু বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অফিস ও ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি | তারিখ: ০১-০৩-২০১৩ 


চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণজলদি ধোপাপাড়ায় গতকাল সন্ধ্যায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আগুন দেন। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ বাজার ও আশপাশের এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়ে দুটি মন্দির ও আটটি হিন্দু বাড়ি ভাঙচুর এবং পাঁচটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে জামায়াত-শিবির। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর এই হামলা চালানো হয়।
এদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় একটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
বাঁশখালীর দক্ষিণজলদির হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিলে কমপক্ষে ২০টি ঘর পুড়ে যায়। এ সময় হামলায় এবং আগুনে ওইসব বাড়ির ১৬ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে দুজন বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। আরও চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির ইকবাল হামলা ও হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর অনেকে জানান, সকাল থেকেই বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ বাজার ও আশপাশের এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মহড়া দিতে শুরু করেন। সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার পর বেলা দুইটার দিকে তাঁরা একযোগে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারের পাশে বাইন্নাবাড়ির সামনের কালীমন্দিরসহ দুটি মন্দির ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাইন্নাবাড়ি ও নাপিতবাড়িসহ আটটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালান ও ভাঙচুর করেন।
হামলাকারীরা কাপড়, টাকা, ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার লুট করেন। বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় ভাঙচুর ও লুটপাট চলে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠাকুরবাড়ির এক গৃহবধূ বলেন, ‘দুপুরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীসহ শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ভাঙচুর, বসতঘরের বেড়া কুপিয়ে চোখের সামনেই আগুন ধরিয়ে দেন।’
বেগমগঞ্জের ইউএনও খন্দকার নুরুল হক বলেন, এলাকায় বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উত্তর চান্দলা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ওই গ্রামের ইকবাল হোসেন কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে একটি মাইক্রোবাস ও একটি অটোরিকশার কাচ ভাঙচুর করেন। এরপর সড়কের পাশে শিবমন্দিরের বটগাছের নিচে শীতলা দেবীর একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেন। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তিনি দ্রুত পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ, ইউএনও ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, বিকেলে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইউএনও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Saturday, February 23, 2013

জামায়াত-শিবির রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে: মিজানুর রহমান

মিজানুর রহমান 


নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৩-০২-২০১৩


জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধানের সাংবিধানিক অধিকারের সুযোগ নিয়ে জামায়াত-শিবির অগণতান্ত্রিক কাজ করবে, সংবিধানবিরোধী কাজ করবে, তা হতে পারে না। জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে এরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে। রাষ্ট্র আর চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। রাষ্ট্রকে আইনের মাধ্যমে এ ধরনের দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে খাদ্য অধিকার-বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। খাদ্য-অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবিধানে এমন অনেক কিছু আছে, যা না থাকলেই ভালো হতো। যেমন—সংবিধানে এখনো আছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করা যাবে। অথচ জনগণের কাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ ধরনের রাজনীতি করার সুযোগ দেশে থাকবে না।’
মিজানুর রহমান ওই সম্মেলনে বলেন, ‘ আশা করি গতকালের (শুক্রবার) তাণ্ডব দেখে সরকার সংবিত্ ফিরে পাবে। সরকার বুঝবে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললে সেই সমাজে, রাষ্ট্রে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে চলতে দেওয়া যায় না।’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালেও ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্ষণ, লুণ্ঠন করেছে। ১৯৭১ সালে তারা ভুল করেছিল, সে ধরনের উপলব্ধি এই দলটির মধ্যে আসেনি। তাণ্ডব চালিয়েই যাচ্ছে। রাষ্ট্রকে বিষয়টি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকেও এদের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

Saturday, February 2, 2013

Sumangala Mahathero


Your Right To Know
Saturday, February 2, 2013


Pandeeth U Sumangala Mahathero, the principal monk of Ujanipara Buddhist temple of Bandarban, passed away at the temple yesterday. He was 98.
Mahathero was awarded Upashompoda at the age of 21 years and sustained a sacred life for 77 years.
He was also given "Tripitok Scholar" title in his long life as a monk.
Bir Bahadur Ushwe Sing MP, chairman of Chittagong Hill Tracts Development Board; Brig Gen Shams Ul Huda, regional commander; KM Tarikul Islam, deputy commissioner of Bandarban; and Ksaine Prue, Bomang chief, expressed their deep shock at the death.


পটিয়ায় মন্দিরে হামলা - বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি


পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | তারিখ: ০২-০২-২০১৩
চট্টগ্রামের পটিয়ার কোলাগাঁও ও লাখেরা গ্রামে বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে মামলার বাদী কোলাগাঁও রত্নাঙ্কুর বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ দীপানন্দ ভিক্ষুকে এই হুমকি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে গত বুধবার বিকেলে অধ্যক্ষ দীপানন্দ ভিক্ষু বাদী হয়ে পটিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সূত্র জানায়, প্রেরকের নামবিহীন রেজিস্টার্ড ডাকে পাঠানো চিঠির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে কোলাগাঁও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লি.। চিঠিতে বলা হয়, ‘দীপানন্দ ভিক্ষু, আমরা জানি তুমি পটিয়ায় বৌদ্ধবিহারে হামলার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছ। তুমি মামলার বাদী। তোমার কারণে আজ আমরা ঘরে থাকতে পারছি না। যদি ১০ দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করে পটিয়া থেকে চলে না যাও, তাহলে শুধু তুমি না, তোমার গোষ্ঠীশুদ্ধ শেষ করে দেব। কথাটা মনে থাকে যেন। অন্যথায় মৃত্যুর জন্য তৈরি হও। ইতি- ভুক্তভোগী।’ বিহারের অধ্যক্ষ দীপানন্দ ভিক্ষু বলেন, এর আগেও সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে বেনামে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার চিঠির মাধ্যমে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর নিরাপত্তায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ উড়ো চিঠির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে ভিক্ষু বাদী হয়ে পটিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

Friday, February 1, 2013

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি: এইচআরডব্লিউ


অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ০১-০২-২০১৩
বাংলাদেশে গত বছর মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।র্যাবের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে—মন্তব্য করে বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ ছাড়া প্রতিবেদনে রাজনৈতিক কর্মী গুম, সুশীল ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নানা চাপ, নারীর প্রতি সহিংসতা, রোহিঙ্গা বিষয়ে সরকারের অবস্থানসহ নানা বিষয়ে সংস্থাটি তাদের পর্যালোচনা তুলে ধরেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটি ৬৬৫ পৃষ্ঠার। এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশের গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ‘আরব বসন্ত’-পরবর্তী সময়ের একটি বিশ্লেষণও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড এডামস বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, মানবাধিকারকর্মী ও সমালোচকদের জন্য উদার পরিবেশ প্রদান ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থার অঙ্গীকার করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু সরকার এগুলো পূরণে আদৌ কিছু করছে বলে মনে হচ্ছে না।"

কী কারণে মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে দাবি করা হয়, সরকার দেশের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের কর্মকাণ্ড সীমিত করে দিয়েছে। আইন লঙ্ঘনের পরও সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি না করে রক্ষা করছে। গুম ও হত্যার তদন্ত করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলোকে (এনজিও) তদারকি করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। আর এসব কারণেই ২০১২ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে আসায় স্বাগত
প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) ‘কুখ্যাত’ উল্লেখ করে বলেছে, গত বছর এই বাহিনীর মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে। বিষয়টিকে সংস্থাটি স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে এটাও বলেছে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা এখনো বেশ বেশি।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম অব্যাহত
এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশে ‘ক্রসফায়ার’-এর নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বিরোধী দলের সদস্য ও রাজনৈতিক কর্মীদের গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনা অব্যাহত আছে। একজন শীর্ষস্থানীয় শ্রমিক নেতাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং অন্য শ্রমিক নেতাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর চাপ ও নজরদারি বেড়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছে।

নারীর প্রতি সহিংসতা চলছেই
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশে কঠোর আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন খুবই নগণ্য। এ দেশে ধর্ষণ, যৌতুকের জন্য নির্যাতন এবং অ্যাসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ফতোয়ার নামে অন্যায় শাস্তি প্রদানসহ নানা পারিবারিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইনের কারণে বহু নারী বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তালাকের সময় নানা বিপত্তির সম্মুখীন হন।

রোহিঙ্গা-বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে গত বছর মুসলমান রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৌদ্ধদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়, তখন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে সরকার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা অগ্রাহ্য করে।