Friday, March 15, 2013

বাংলাদেশ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান


ঢাকা, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০১৩, ২ চৈত্র ১৪১৯, ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৪
মাঈনুল আলম, লন্ডন থেকে


বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসের কয়েকজন সদস্য রাজনৈতিক অস্থিরতা, সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ আইন প্রণেতারা বিতর্কে অংশ নিয়ে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান।

জবাবে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে একজন প্রতিমন্ত্রী জানান, ব্রিটিশ সরকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত আছে এবং চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও এ ব্যাপারে যোগাযোগ আছে বলে হাউজ অব লর্ডসকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার হাউজ অব লর্ডসে বিতর্কের সূচনা করেন ব্রিটিশ জোট সরকারের অন্যতম অংশীদার লিবারেল ডেমোক্রেট দলের সদস্য লর্ড এরিক এ্যভব্যারি। তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের দ্বয়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় বহু লোকের প্রাণহানি ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এবং তাদের উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্রিটিশ সরকার অবহিত কিনা। জবাবে পররাষ্ট্র ও কমনওয়েল্থ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ার্সি বলেন, বাংলাদেশে সামপ্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ব্রিটিশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনায় ৭০ জন নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই মারা গেছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর গুলিতে। এছাড়া ২৪টি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, ১২২টি ঘর ও বহু দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর এসেছে। এসব দুঃখজনক ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান করেছি। সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে ওয়ার্সি বলেন, সে সফরেও আমি বলেছি যে আইনানুগ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মধ্যে সংঘাত ও ভাঙচুরের কোন স্থান নেই। 

বিতর্কে অংশ নেন ব্যারোনেস মঞ্জিলা পলা উদ্দিন, লর্ড ডোলাকিয়া, লর্ড ট্রিম্বলএবং ব্লেইজবোনের ব্যারোনেস রয়্যালসহ আরো বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতা। তারা বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে নিজেদের অভিমত প্রকাশের পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।

সাঈদা ওয়ার্সি আরো বলেন, 'ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছে। কেননা ব্রিটিশ সরকার মনে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অপরাধ করে রেহাই পাওয়ার যে প্রবণতা, তার থেকে বের হয়ে আসার জন্য এ বিচার জরুরি। এই বিচার প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং আইনি বিধান বজায় রেখে হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকর জন্যও আমরা বার বার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদির মামলার রায় ঘোষণার পর ভাঙচুর ও সহিংসতার মাত্রা যে হারে বেড়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।' তিনি হাউজ অব লর্ডসকে আরো জানান, বাংলাদেশ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের উদ্বেগের আরো একটি কারণ হল, এ পরিস্থিতি ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যেও সংঘাত ছড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় পাল্টাপাল্টি সভা সমাবেশের ঘটনায় এটা স্পষ্ট। এছাড়া কমনওয়েল্থভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারেও ব্রিটেনের আগ্রহ রয়েছে। এ সময় ওয়ার্সি বাংলাদেশের সরকার ও অন্যান্য দলগুলোকে সংঘাত এড়িয়ে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানান।

ব্যারোনেস মঞ্জিলা পলা উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সাক্ষী হিসেবে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের যে দাবি বাংলাদেশের মানুষ তুলেছে তা আমি গভীরভাবে উপলদ্ধি করতে পারি। উল্লেখ্য, পলা উদ্দিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। লর্ড ডোলাকিয়া বলেন, ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে দেখা করেছেন। তারা জামায়াত-শিবির বাংলাদেশে তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করার জন্য পররাষ্ট্র ও কমনওয়েল্থ মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। 

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইত্তেফাক প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে লর্ড এ্যভব্যারি বলেন, নীতিগতভাবে ব্রিটিশ সরকার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে এবং তারাও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চায়। তবে এই ট্রাইব্যুনালের আইন এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে চরম দ্বিমত রয়েছে। যার কারণে এ বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এছাড়া শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রশংসা করলেও তিনি তাদের দাবির প্রতি দ্বিমত পোষণ করেন। এ্যভব্যারি বলেন, 'আমরা মৃত্যুদণ্ডের দাবির সাথে একমত নই। এছাড়া জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে তারা জঙ্গিরূপে আবির্ভূত হতে পারে।

Monday, March 11, 2013

সহিংসতা সমাধানের পথ নয়: মজীনা (ভিডিও) - কূটনৈতিক প্রতিবেদক |


ঢাকা, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৩, ২৭ ফাল্গুন ১৪১৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৩৪
ড্যান ডব্লিউ মজীনা
ড্যান ডব্লিউ মজীনা

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতায় মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশটিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। 
আজ সোমবার আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা এসব কথা বলেন।
তিন সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গত শনিবার বাংলাদেশে ফিরেছেন ড্যান মজীনা। 
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিন্ন মত প্রকাশে সহিংসতা সমাধানের পথ নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে অব্যাহতভাবে প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তির মত-পার্থক্য সম্পর্কে মজীনা বলেন, ‘বাংলাদেশে সংঘাতমূলক রাজনীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে একটি অবাধ, নিরপক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরাই সমাধানের পথ খুঁজে নেবেন।’
পুলিশের প্রতি মারমুখী আচরণ, সম্পদ নষ্টসহ নানা সহিংসতার অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। বাইরের লোক হিসেবে আমার কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।’
জামায়াতের সাম্প্রতিক তত্পরতা সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, সংঘাতই মত প্রকাশের একমাত্র পথ নয়। লোকজনের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি সাধন ভয়াবহ ব্যাপার। 
সহিংস তত্পরতার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মজীনা বলেন, ‘আমি যতটা জানি, জামায়াত একটি স্বীকৃত দল। দলটির একাধিক সাংসদ রয়েছেন।’ 
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, তাঁর সাম্প্রতিক সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাঁর কাছে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান, বিশেষ করে শাহবাগ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছেন। তখন মজীনা তাঁদের বলেছেন, মানুষ শান্তিপূর্ণ উপায়ে কীভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে, তার একটি উত্কৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শাহবাগের আন্দোলন।



সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদাহানি করছে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে বক্তারা - ইত্তেফাক রিপোর্ট


ঢাকা, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৩, ২৭ ফাল্গুন ১৪১৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৩৪

'হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার। একে বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু হরতালের দোহাই দিয়ে হত্যা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়'

দেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে বক্তারা বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা হানি করছে। তাই এ ধরনের হামলা ও সহিংসতা বন্ধে সব দলের সহায়তায় সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যাতে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা যায়। 

শনিবার বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের সতেরতম পর্বে এসব কথা বলেন বক্তারা। বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসিডেন্ট এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী এবং বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মোহসিন।

রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে সংখ্যালঘুদের উপর হালা প্রসঙ্গে একজন দর্শকের প্রশ্নের জবাবে এম. কে আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশের মতো অসাম্প্রদায়িক দেশ আর নেই। তবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাকে রাজনীতিকরণ না করে, সুনির্দিষ্টভাবে এর বিচার করতে হবে। সরকার উদ্যোগী হলে আমরা সাহায্য করবো। যে দল বা ব্যক্তির যোগসাজশেই এ ধরনের ঘটনা ঘটুক তার আইনানুগ বিচারও আমরা চাই। ঢালাওভাবে কোনো দলকে এ জন্য দোষ দিয়ে সরকার পার পেতে পারে না। 

এ প্রসঙ্গে আমেনা মোহসিন বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা বাংলাদেশকে একটি সহিংস রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দিচ্ছে বহির্বিশ্বে। তা থেকে বের হওয়ার জন্য সরকার এবং নাগরিক সমাজ দুই পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে। এ জন্য জামায়াতকে দায়ী করা হলেও সরকারকে এ ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। জামায়াত ছাড়াও আরো অনেক মহল জড়িত থাকতে পারে। 

রাশেদ খান মেনন বলেন, এটা হঠাত্ কোন ঘটনা নয়। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের জন্য বহুদিন থেকেই ধারাবাহিকভাবে এমন প্রচেষ্টা চলছে। সংঘবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রচারণায় নামতে হবে। কারণ সংগঠিত হয়ে কোথাও হামলা চালালে সরকারের আর করার কিছুই থাকে না।

প্রতিবাদি পক্ষগুলোর কাছে পলিশের মার খাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশকে আঘাত করলে সরকারকে আঘাত করা যায়, তাছাড়া সহিংসতায় উস্কানি হিসেবেও পুলিশের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে এম. কে আনোয়ার বলেন, বর্তমানের সহিংসতাগুলোতে পুলিশ ছাড়াও অনেকে মারা যাচ্ছে। পুলিশ যদি নিরপেক্ষ আচরণ করতো তবে পুলিশের সহায়তা অনেকেই এগিয়ে আসতো। পুলিশের মার খাওয়া প্রসঙ্গে আমেনা মোহসিন বলেন, পুলিশের উপর হামলা মানে সরকারের উপর অনাস্থা। কারণ পুলিশ তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে।

সরকার ও বিরোধীদলের পরস্পরবিরোধী আচরণ দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এম কে আনোয়ার বলেন, এতদিন পর্যন্ত আমরা সরকারকে সময় দিয়েছি। তারপর আন্দোলনে নেমেছি। তারপরও এর সমাধান হতে পারে আলোচনার মাধ্যমেই। আমরা সুনির্দিষ্ট এজেন্ডায় আলোচনায় বসতে রাজি সরকারের সাথে।

নুরুল হুদা বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি অনিবার্য ছিল। কারণ কোনো দলই তাদের নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে প্রস্তুত নয়। যেহেতু আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি না। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন। 

আমেনা মোহসিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে একমত হয়ে নির্বাচনের দিকে এগোনো উচিত। 

আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ সঠিক হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার। একে বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু হরতালের দোহাই দিয়ে হত্যা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। 

আমেনা মোহসিন বলেন, হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। একে নিষিদ্ধ করার কোন কারণ নেই। তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, বর্তমানের আধুনিক বিশ্বে হরতাল কোন গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না। এটা আত্মহত্যা।


Thursday, March 7, 2013

Temple vandalised, torched in Lalmonirhat


THURSDAY, MARCH 07, 2013 | 22:37



Miscreants vandalised idols and torched a Hindu temple in Hatibandha upazila in Lalmonirhat Thursday morning.
Sree Sree Kali Mandir is in Bejgram village which is about 2 kilometres off the Indian border, our Lalmonirhat correspondent reports.
According to members of the Hindu community, witnesses and police, some unidentified people demolished an idol of Hindu Goddess Kali and set fire to the temple when the villagers were sleeping sometimes early Thursday.
Sensing the fire around 4:30am, the locals rushed there and managed to douse the fire after an hour.
The temple was built 15 years ago.
Dilip Kumar Singh, general secretary of Hatibandha Upazila Puja Udjapon Parishad, alleged that anti-liberation elements might be behind torching of the temple as most of the Hindu people of the village joined a rally in Hatibandha upazila town on Wednesday protest attacks on minority people and their place of worships.
A case was lodged with Hatibandha Police Station in this connection.
Upendro Nath Singh, president of the temple committee, the attack sent panic to about 120 Hindu families of the village.
The miscreants might attack them anytime, they fear.
They contacted the upazila administration to seek security.
Tapos Kumar Sarker, officer-in-charge of Hatibandha Police Staiton, said police were trying to arrest the miscreants.
Police would take necessary steps to ensure security to the Hindu people, the OC said.

Protect Hindus, AI urges Bangladesh


THURSDAY, MARCH 07, 2013 | 22:34
temple vandalised 306x240 Protect Hindus, AI urges Bangladesh
This March 5 photo shows vandalised idols in a
Hindu temple in Singra upazila of Natore.
In the wake of a wave of violent attacks against the country’s minority Hindu community, Amnesty International has made an urgent call to the government to provide them with better protection.
Over the past week, individuals taking part in strikes called for by Islamic parties have vandalised more than 40 Hindu temples across Bangladesh. Scores of shops and houses belonging to the Hindu community have also been burned down, leaving hundreds of people homeless, said a press release of the international rights watchdog.
“The Hindu community in Bangladesh is at extreme risk, in particular at such a tense time in the country. It is shocking that they appear to be targeted simply for their religion. The authorities must ensure that they receive the protection they need,” said Abbas Faiz, Amnesty International’s Bangladesh Researcher.
“All political parties in Bangladesh should condemn strongly any violence against the Hindu community, and to instruct all their members and supporters not to take part in such attacks.”
Survivors told Amnesty International that the attackers were taking part in rallies organised by the opposition Jamaat-e-Islami and its student wing Islami Chhatra Shibir.
Jamaat has publicly denied any involvement in violence against the Hindu community.
The latest attack took place on Wednesday in Daudkandi in southeastern district of Comilla, where a Hindu temple was vandalised and burnt down.
One survivor told Amnesty International that on February 28, his family’s village of Rajganj Bazar in the southeastern Noakhali district was set on fire by people taking part in a Jamaat-organised strike.
“They moved into our properties and set fire to 30 of our houses. Seventy-six families were living in these houses. They also set fire to our temples – all are now vanished,” the survivor said, who asked to remain anonymous out of concerns for his safety.
He said the authorities have provided temporary accommodation to the affected families, who had lost almost all their belongings to theft or destruction in the violence.
Another survivor said that on March 2, a group of about 100 young men holding banners in support of Jamaat looted and damaged four shops in Satkania near Chittagong and vandalised a Hindu temple in the village.
Bangladesh’s Hindu minority makes up only eight percent of the population, and has historically been at risk of violence from the Muslim population—including during the independence war in 1971, and after elections in 2001.
“Given the obvious risks the Hindu minority faces in Bangladesh, these attacks were sadly predictable. We urge the authorities to take note of the violence and act to prevent further attacks,” said Faiz.
Tensions have been running high in Bangladesh in recent weeks as JI and its student wing have called strikes and mass protests against the ICT, which has found some of its senior members guilty for crimes committed during the 1971 war.
Protesters have also been involved in violent clashes with police, who have used tear gas, rubber bullets or live ammunition against them. At least 60 people have been killed, mostly by police fire, but among the dead are also several policemen.
“While there are credible reports that police firing may have followed violent attacks against them by protesters, police use of excessive force cannot be discounted”, Faiz said.

Sunday, March 3, 2013

Tackle religious radicalism judiciously


Your Right To Know
Sunday, March 3, 2013

As I am leaving Bangladesh in May, I am going through hundreds of articles from The Daily Star that I have carefully cut out and filed over the last 12 years or so in which I have been reading it.
I must congratulate you, especially, on the sheer quality of what you have been publishing on the religious life of this dear country - as well as everything else. You have encouraged me, as a Christian with degrees in History and Theology - to listen with much respect to the thinking of some fine minds and the feelings of some warm hearts as they share their devotion to, and thinking about the beliefs of Islam as well as the behaviour of Muslims… Incidentally, you have proved that intellectual debate and liberal thought is the very opposite of 'atheism'. I now read these articles with an increased interest, and find them still edifying. I have one before me of Ziauddin Choudury of April 24th 2008 concerning the 'disturbing happenings' in Baitul Mukarram Masjid Square. It could have been written yesterday - and urges prompt action lest things get worse. Nearly 5 years later, they have. Let me quote:
A law and order concern is addressed when the law-breakers are contained and order restored. But a potential threat by religious radicals cannot be stopped simply by police action. This needs, first, a full awareness of the potential threat, an acknowledgement by all that it exists, and engagement of all righteous sections of our society in opposing such ideas and ideology.
I think we have reached that point now, haven't we? I wonder how long it will be before the authorities agree - and take long overdue action?

Jamaat's Attack on Minority Communities


Your Right To Know
Sunday, March 3, 2013


1) The ruins of the Hindu neighbourhood of Dhopapara in Banshkhali, Chittagong after the belligerent activists and supporters of Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir torched all houses and a temple there on Thursday. 2) A man offering prayers in the burnt down temple of Dhopapara. 3) A man trying to salvage whatever he can in the wreckage of Banshkhali Upazila Parishad, which also came under the Jamaat-Shibir arson attack on Thursday. 4) A shattered idol of a Hindu goddess in a temple at Dumuria in Morelganj upazila, Bagerhat following an attack of zealots early yesterday. 5) The remains of an early Friday attack on the Pinglakathi Hindu temple in Gournadi, Barisal. 6) Two Hindu girls in sullen silence look through their damaged books on the ruins of their house in Rajganj union of Noakhali's Begumganj upazila where religious fanatics ravaged through several Hindu neighbourhoods on Thursday. 7) Another destroyed Hindu neighbourhood in the union. 8) An elderly woman has a vacant look on her face and tears roll down her cheeks after her home was destroyed by the fanatics in Rajganj. Photo: Star, Focus Bangla

United Nations concerned HRW urges govt, Jamaat to show restraint, avert violence


Your Right To Know
Sunday, March 3, 2013


UN Secretary-General Ban Ki-moon has expressed concern over the ongoing violence in Bangladesh.
“The secretary-general is monitoring the situation with concern and is saddened by the loss of life,” Eduardo del Buey, deputy spokesperson for the secretary general, told a daily press briefing in New York on Friday.
Activists of Jamaat-e-Islami unleashed a wave of violence across the country after a war crimes trial on Thursday sentenced its Nayeb-e-Ameer Delawar Hossain Sayedee to death. Since then, 47 people have been killed in its attacks and in clashes between its supporters and police.
The deputy spokesperson for the UN secretary general said, “While recognising that the war crime tribunal is a national process, the secretary-general calls on all concerned to act with respect for the rule of law, to stop the violence and to express their views peacefully.”
Meanwhile, Human Rights Watch yesterday called upon the government and the Jamaat-e-Islami to ensure that law enforcers and party supporters do not engage in further acts of violence.
In a press statement, the New York-based rights body said media reports suggest most deaths were at the hands of police, but supporters of the ruling Awami League had also engaged in vandalism and violence.
The initial information that HRW has received suggests that the police were responding to attacks by Jamaat members and supporters that resulted in police and civilian deaths after the party called for protests against the verdict.
“The leadership of Jamaat should immediately issue public statements to its followers to stop these violent, unacceptable attacks against law enforcement officers and those who support the verdicts of the war crimes trials,” said HRW Asia Director Brad Adams.
“At the same time, the government should instruct the security forces to strictly observe its obligation to use maximum restraint and avoid lethal force unless necessary to protect their lives or those of others. If cool heads don't prevail, Dhaka could dissolve into uncontrolled violence.”
HRW also called on the political leaders to avoid making comments or using rhetoric that could incite violence or otherwise inflame the situation.
Citing Friday's press briefing where BNP Chairperson Khaleda Zia criticised the government's response and compared the recent killings with the 1971 genocide, Adams said, “The violence thus far is deplorable, but wild and exaggerated rhetoric about genocide risks inciting further retaliatory violence and should be avoided.”
It called for effective investigations into the deaths during the demonstrations.
US REACTION
The United States has asked all Bangladeshis to express their views peacefully and said it welcomed peaceful efforts by the government to help calm the situation.

Patrick Ventrell, acting deputy spokesperson of the US State Department, on Friday said, “While engaging in a peaceful protest is a fundamental democratic right, we believe violence is never the answer.

উপাসনালয় ও বেসরকারি সম্পত্তির উপর হামলা নিষ্ঠুর এবং অনাকাঙ্খিত:ব্রিটিশ হাইকমিশনার


রোববার | ৩ মার্চ ২০১৩ | ১৯ ফাল্গুন ১৪১৯ | ২০ রবিউস সানি ১৪৩৪

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী সহিংসতা এবং বেশকয়েকটি কান্ডজ্ঞ্যানহীন ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে ও বেসরকারি সম্পত্তির উপর হামলাকে নিষ্ঠুর এবং অনাকাঙ্খিত বলে অভিহিত করেন। তিনি প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি উপাসনালয় এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর নিষ্ঠুর ও অসংগত হামলার নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, একটি সহিষ্ণু রাষ্ট্র গড়তে, কঠিন সংগ্রাম এবং অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। কতিপয় মানুষের নির্মম ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডে এই বিশাল অর্জন ম্রিয়মান হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশের অধিকার রয়েছে, সেখানে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হরতাল আরোপ করে সকল নাগরিকের জীবন বিপর্যস্ত এবং স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ব্যাহত করা হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী তাদের নেতিবাচক ধারণা দিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সকল পক্ষকে সংযত থাকতে ও আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক সংলাপের মধ্যদিয়ে মতপার্থক্য দুর করতে এবং অনর্থক সহিংসতার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্থিতি দুর্বল না করার জন্য যুক্তরাজ্য অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাবে।

Friday, March 1, 2013

সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা দিয়ে বিচার ঠেকানো যাবে না: সুরঞ্জিত


অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ০১-০৩-২০১৩
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো যাবে না।
আজ শুক্রবার প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ও আওয়ামী লীগের নেতা আলমগীর কুমকুমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমীর প্রশাসন ভবনের নিচতলায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জামায়াত ও শিবিরকে লক্ষ্য করে সুরঞ্জিত বলেন, ওরা জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী। ওরা জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। বিচার পক্ষে গেলে তারা সন্তুষ্ট। আর বিপক্ষে গেলে সৃষ্টি করে নৈরাজ্য। 
সুরঞ্জিত বলেন, যখনই এ দেশে কোনো প্রগতিশীল আন্দোলন হয়েছে, তখনই সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ, ১৪ দল এবং প্রগতিশীল লোকদের এখনই সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পুলিশ-র্যাব ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব এবং গুলি চালিয়ে সাধারণ মানুষের হত্যায় গোটা জাতি আতঙ্কিত। এটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘এ গণহত্যার জন্য দায়ী আপনাদের বন্ধু জামায়াতে ইসলামী। ওদের বিরুদ্ধে কথা বলুন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, জামায়াতের সাথে সহ-অবস্থান করবেন কি না।’
আজকের এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।